নিয়মিত রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে খটখটে শুকনো আবহাওয়ায় শুধুই শূন্যতা। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই জায়গাটি পরিণত হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়নায়। যেখানে মনে হবে আপনি এক অন্য জগতে প্রবেশ করেছেন। এটি দক্ষিণ বলিভিয়ার শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে অবস্থিত সালার ডি ইউনি। যাকে ইউনি সল্ট ফ্ল্যাট বলা হয়ে থাকে।

বিশাল প্রাগ-ঐতিহাসিক হ্রদ মিনচিন শুকিয়ে যাওয়ার সময় যে দুটি লবণের ফ্ল্যাট অবশিষ্ট ছিল, তার মধ্যে সালার দে ইউনি সবচেয়ে বড়। বিশ্বের বৃহত্তম লবণের সমতল হিসেবে পরিচিত হৃদটি। এটি ১০৫৮২ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত। এই বিশাল জায়গার যেখানে পা রাখবেন সেখানেই দেখবেন প্রতিচ্ছবি।

৩৬৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় আন্দিজের শিখরের খুব কাছে অবস্থিত সালার দে ইউনি। দর্শনীয় লবণের ফ্ল্যাটগুলোর পাশাপাশি ইউনি ম্যাজেন্টা নামে একটি হ্রদকেও এটি ঢেকে রাখে, যা বিশেষ ঋতুতে গোলাপি ফ্ল্যামিঙ্গো ঝাঁকে ঝাঁকে ছেয়ে থাকে।

অণুজীবসহ জীবন্ত একটি সবুজ হ্রদ, পরিত্যক্ত রেলপথ ট্র্যাক, শুকনো শিলা থেকে অঙ্কুরিত এলিয়েনের মতো সবুজের বিশাল ব্লবস, গরম গিজার ল্যান্ডস্কেপ, প্রাকৃতিক হট স্প্রিংস, পরাবাস্তব শিলাসহ আরও অনেক কিছুর দেখা মিলবে এখানে। ইচ্ছা হলেও ঘুরে আসা যায় এই স্বপ্নের দেশ থেকে।

সালার দে ইউনি কীভাবে যাবেন
সালার দে ইউনি-তে যাওয়া অনেকটা সহজ। অরুরো এবং ভিলাজোনের মতো কাছাকাছি শহরের ট্রেন পাওয়া যায়। লা পাজ থেকে বাসেও যাওয়া যায়। বিভিন্ন ট্যুর অপারেটরে মাল্টি-ডে ট্রিপও পাওয়া যায়। তবে মরুভূমিতে গেলে যেমন নিজের খাবার এবং জল সঞ্চয় করে নিয়ে যেতে হয়, এখানেও তা জরুরি। বেশিরভাগ লোক বলিভিয়ার ইউনি ট্যুর করতে পারেন অতি সহজেই। চিলির আতাকামা মরুভূমির দিকে গেলে ইউনি যাওয়ার জন্য সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছে যাবেন পর্যটক।

কখন গেলে দেখা যাবে নৈসর্গিক দৃশ্য
জুন মাসে শুষ্ক মওসুমে ইউনি থেকে সালারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল। তখন এটি মরুভূমির মতোই শুকনো মনে হবে। স্বচ্ছ আয়নার মতো সালারকে দেখতে হলে বৃষ্টির সম্ভাবনাপূর্ণ আবহাওয়ায় ভ্রমণ করা উত্তম।

এমএইচএস