সহপাঠীরা অষ্টম সেমিস্টারে হলেও তারা এখনও তৃতীয়তে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৯ সালের আগস্টে। এর ফলাফল প্রকাশ হয়েছে ২০২০ এর ডিসেম্বরে। পরীক্ষার দীর্ঘ দেড় বছর পর ফলাফল প্রকাশিত হওয়ায় তীব্র সেশনজটে পড়েছে এই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।
এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ বর্ষের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে অষ্টম সেমিস্টারে, কিন্তু আমরা এখন তৃতীয় বর্ষে উঠেছি মাত্র। অন্যান্য বিভাগগুলোতে তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল দিয়ে দেয়। সেখানে ১৬ মাস পর জানলাম, আমাদের ফলাফল হয়েছে। প্রথম বর্ষ থেকেই আমাদের সেশনজট শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে বার বার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। এখন এভাবে ক্লাস ও ফলাফল দীর্ঘায়িত করার কারণে শিক্ষার্থীদের বয়স বাড়ছে কিন্তু সঠিক সময়ে ক্লাস পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ না হওয়ার কারণে আমরা সুনির্দিষ্ট সময়ে কোনো চাকরির পরীক্ষা বিসিএস আবেদন করার সুযোগ পাব না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্নাতক শেষ না হওয়ার অনিশ্চয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
এ বিষয়ে নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান শামস শাহরিয়ার কবি বলেন, অনেকদিন ধরে আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা সেশনজটের কবলে আছে। তবে করোনার কারণে প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হওয়াতে ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘায়িত হয়েছে। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় প্রায় ১৫/১৬ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় তারা ইম্প্রুভমেন্টসহ দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দেরি করে দিতে চেয়েছিল। পরে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা পরীক্ষা নিলে ফলাফল প্রকাশ করতে সময় লেগেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে এম আক্তারুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগ দেরি করে ফলাফল জমা দিলে সমস্যা হবেই। বিভাগ জমা দিলেই আমরা আমাদের কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করে দেই।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ সময় নিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা উচিত নয়। তবে ফলাফল প্রকাশের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।
এফআর