ভোক্তা অধিকারের নাম বললেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. শফিকুজ্জামান বলেছেন, অধিদপ্তরের কার্যক্রম এখন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এজন্য এখন ভোক্তার অধিকার লঙ্ঘন হলে অনেক ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকারের নাম বললেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। তাকে আর অভিযোগ করা লাগছে না।
শুক্রবার (২৪ জুন) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ভোক্তা অধিকার সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার’ এ তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংগঠন ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটির’ (সিসিএস) আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ.এইচ.এম. শফিকুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবির উপ-উপাচার্য ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম।
মহাপরিচালক এ.এইচ.এম. শফিকুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি ভোজ্যতেলের বাজারে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ব্যাপক সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। এজন্য চালের বাজারে সমস্যা সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে আমরা কঠোর অবস্থানে গিয়েছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
তবে শুধু অধিদপ্তরের অপেক্ষায় না থেকে ভোক্তাদেরও নিজেদের জায়গায় সচেতন হতে হবে এবং অধিদপ্তরের কাজে সহযোগিতা করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সেমিনারটিতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। উপস্থাপনা করেন সিসিএসর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস, আফরোজা রহমান, রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাত ফেরদাউস, রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ, রাজশাহী জেলার সহকারী পরিচালক মাসুম আলী।
সেমিনারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ওপর শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেন প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জান্নাত ফেরদাউস। সেমিনারে ফুড ও গিফট পার্টনার ছিল বসুন্ধরা গ্রুপ।
আইএসএইচ