ঢাবিতে ভর্তির আবেদন আজ আবার শুরু, বাড়বে সময়

কারিগরি ত্রুটির কারণে সাময়িক বন্ধ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির আবেদন আজ আবার শুরু হচ্ছে। আবেদন প্রক্রিয়া কয়েকদিন বন্ধ থাকায় বাড়ানো হবে সময়।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বেলা পৌনে একটা থেকে সাময়িক বন্ধ রাখা হয় ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া। তা রোববার (১৪ মার্চ) রাত ৮টা-৯টার মধ্যে পুনরায় শুরু করার কথা জানিয়েছেন অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান। সেই সঙ্গে কয়েকদিন বন্ধ থাকায় সময়ও বাড়ানো হবে বলে তিনি জানান।
অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি আবেদন পড়েছে। প্রথম দুই দিনেই মোট এক লাখ সাড়ে পাঁচ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। ফলে ওয়েবসাইটে বেশ চাপ পড়েছে। এ কারণেই মূলত সার্ভারে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন দুটি সার্ভার তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। ওয়েবসাইটের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। একসঙ্গে অন্তত ১২ হাজার মানুষ যাতে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থা করছি। আশা করছি, আজ রাত ৮টা-৯টার মধ্যে আমরা আবার আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারব।
আবেদনের সময় বাড়বে কি না– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের হাতে অনেক সময় আছে। যে সময়টা নষ্ট হয়েছে, আমরা এপ্রিল মাসে সেটা পুষিয়ে নেব অর্থাৎ সময় বাড়িয়ে দেব। সেই সঙ্গে কোনো শিক্ষার্থীর আবেদনে কোনো সমস্যা হলে বা ভুল থাকলে সেটাও সংশোধন করে নিতে পারবে।
গত সোমবার (৮ মার্চ) ঢাবির ভর্তির অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন করেন উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান।
আগামী ২১ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিট, ২২ মে কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিট, ২৭ মে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিট, ২৮ মে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট ও ৫ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের বহুনির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আর অঙ্কন পরীক্ষা হবে ১৯ জুন। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
ক, খ, গ ও ঘ ইউনিটে মোট ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এ ক্ষেত্রে ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। উত্তর দেওয়ার জন্য ৪৫ মিনিট করে সময় থাকবে। চ ইউনিটে ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষা হবে, সময় থাকবে ৩০ মিনিট। এর ফলাফলের ভিত্তিতে পরে মেধাক্রম অনুযায়ী ১ হাজার ৫০০ জন ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষায় অংশ নেবেন। অঙ্কন পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। পাঁচটি ইউনিটেই প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ওপর ১০ করে মোট ২০ নম্বর যোগ করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
এইচআর/এসএসএইচ