গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় জবি শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) স্নাতক ভর্তিতে গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা থেকে বের হয়ে পূর্বের ন্যায় স্বতন্ত্র পদ্ধতি চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেন তারা।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর মাত্র দেড় যুগে শিক্ষা, গবেষণাসহ সকল ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ঈর্ষণীয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ই সর্বপ্রথম পুরোপুরি লিখিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম চালু করে। যেন মানসম্মত ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায়। গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাওয়ার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার স্বকীয়তা হারিয়েছে বলেও মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে বক্তারা বলেন, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তা না হলে আমরা পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী একেএম রাকিব বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বকীয়তা হারিয়েছে। আমরা শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য এখন নিচের সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকিয়ে থাকি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার শেষ হয়ে যায়, আর এখানে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েও শিক্ষার্থী পাওয়া যায় না। গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আমাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবো।
এদিকে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে থাকা না থাকার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশেষ অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।
উপাচার্য ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘সিদ্ধান্ত আমি একা নিতে পারি না। সেজন্য অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে আলোচনা করে, শিক্ষকদের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এমএল/এমজে