রাবিতে প্রক্টরের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে ফের বিক্ষোভ

Dhaka Post Desk

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, রাবি

১২ মার্চ ২০২৩, ০৭:২৬ পিএম


প্রক্টরের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রধান ফটকে ফের অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সড়কে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন তারা। 

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ৬ দফা দাবি জানান। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- অনতিবিলম্বে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হককে অপসারণ করতে হবে, সকল সাধারণ শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও আইডি কার্ড ব্যাতীত ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষেধ করতে হবে, হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ও প্রশাসন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে, শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করতে হবে, আহতদের সকল প্রকার চিকিৎসার ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে এবং  সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপকারী বিজিবি/পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

এর আগে দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ২টার দিকে তারা ফিরে যান। তবে সোয়া ২টার দিকে আবারও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। সর্বশেষ বিকেল সোয়া ৪টায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে গেলেও সাড়ে ৫টায় আবারও জড়ো জড়ো হতে থাকেন তারা। রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে অবরোধ থাকায় ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। বিকল্পে পথে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা। 

এর আগে গতকাল শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় বাসের ভেতর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জের ধরে সহপাঠীরা বিনোদপুর বাজারে চালক ও হেলপারকে মারধর করেন। বাস থেকে চালককে নামিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এতে বাধা দিলে তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিরোধ দেখা দেয়। এরপর রাতভর দফায় দফায় স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

এ ঘটনায় আজ সকালেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারকে অবরুদ্ধ করে তারা বিক্ষোভ করেন। দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও উত্তেজনা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ বেশ কিছু দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তুলে ধরেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। 

জুবায়ের জিসান/আরএআর 

টাইমলাইন

Link copied