গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উদযাপন

Dhaka Post Desk

ঢাকা পোস্ট ডেস্ক

১৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:২০ পিএম


গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও শিশু দিবস উদযাপন

আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ পরিবার।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা নতুন প্রজন্মের শিশুদের ভবিষ্যতের কর্ণধার হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

এতে বক্তব্য রাখেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব, বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজ ও রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুব সরওয়ার, পিএইচডি (অব.)।

অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ বলেন, বিশাল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার গোটা জীবন বাংলার মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শুধু লাল-সবুজের পতাকা কিংবা পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ ডাকা হবে জন্য দেশ স্বাধীন করেননি। এদেশের মানুষের ভাগ্য বদলাতে চেয়েছিলেন তিনি। আর এর মাধ্যমেই তিনি সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছেন। এসময় তিনি ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিজীবনের নানা দিক তুলে ধরেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, জন্মদিন নিয়ে বরাবরই অকৃত্রিম ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি নিজে জন্মদিন পালন করতেন না, অন্যদেরও পালন করতে নিরুৎসাহিত করতেন। 

উপাচার্য বলেন, অনন্য সাধারণ মানুষ ছিলেন বঙ্গবন্ধু। ব্যক্তি জীবনে তিনি যেমন কোমল হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন, তেমনি রাজনৈতিক জীবনে ছিলেন দূরদর্শী নেতা। আর এ কারণেই তিনি কখনও বঙ্গবন্ধু, বিশ্ববন্ধু, আবার কখনও রাজনীতির কবি উপাধি পেয়েছেন।

ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব বলেন, শিশুদের স্নেহ ও তাদের অধিকার নিয়ে বরাবরই সচেতন ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বলতেন, এমন একটা দেশ গড়তে হবে, যেখানে কোমল শিশুরা নিরাপদভাবে গড়ে উঠবে। এ কারণেই তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় একযোগে জাতীয়করণ করেছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরও ছিল গ্রিন ইউনিভার্সিটি কালচারাল ক্লাবের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে লেখা গান, কবিতা আবৃত্তি ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

কেএ

Link copied