জাবিতে একজনকে গণপিটুনি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে নাইম ইসলাম (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে গনপিটুনি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৫ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নাইম ইসলামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে। তিনি তার পরিবারসহ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ভাড়া থাকেন। গনপিটুনির পর তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা শাখার সদস্যদের হাতে তুলে দেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, নাইম ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর এলাকায় দুজন ছাত্রীর বাসার জানালা দিয়ে আপত্তিকর জিনিস ছুড়ে দেন এবং নারী শিক্ষার্থীদের দেখে নানা ধরনের অঙ্গভঙ্গি করেনা। এছাড়া তিনি চুরির চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান জামিল বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ছাত্রীর সঙ্গে সে অসভ্য আচরণ করেছে। বাসার জানালা দিয়ে সে আপত্তিকর জিনিস ছুড়ে দেয়। ঐ ছাত্রী জানালা দিয়ে তার একটি ছবি তুলে রাখে। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আমবাগান এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। পরে ছবি দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে নিয়ে আসে।
ইসলামনগরে দুই ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত নাঈম ইসলাম। তিনি বলেন, আমি ইসলামনগরে ঘটনাটি ঘটিয়েছি। তবে আমি কোনো চুরি বা ডাকাতি করি নাই।
নাঈম ইসলামের স্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এর আগেও তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ শুনেছিলাম। আজকে আবার শুনছি। তবে পূর্বের ঘটনার পর সে বলেছিল আর এমনটা করবে না। কিন্তু কি করব, আমি অসহায় হয়ে পড়ছি তাকে নিয়ে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, যেহেতু ঘটনাটি আমবাগানের এবং গণপিটুনির ফলে তিনি গুরুতর আহত হর, সে কারণে আমরা তাকে পুলিশে সোর্পদ করি নাই। মুচলেকা নিয়ে তাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যদি ভুক্তভোগী ছাত্রীরা তার বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।
আলকামা/এবিএস