ববিতে ছাত্রলীগের এক পক্ষের ওপর অন্য পক্ষের হামলা, আহত ৬

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীরা পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের অনুসারীদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছয়জন গুরুতর আহত হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী বাংলা বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানজিমুর আহমেদ নাবিদ ও শরীফ হাসানের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি দল পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী অমিত হাসান রক্তিম-মুয়ীদুর রহমান বাকি গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে তারা মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরে শের-ই-বাংলা হলে ঢুকে প্রধান গেট আটকে দেয় এবং চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় গিয়ে কয়েকটি কক্ষ তল্লাশি করে। এরপর শের-ই-বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু হলের মধ্যবর্তী মাঠ পেরিয়ে সরাসরি বঙ্গবন্ধু হলের চতুর্থ তলায় প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর অনুসারী মুয়ীদুর রহমান বাকি, সালাউদ্দিন ও মিঠুসহ ছয়জন গুরুতর আহত হন। তাদেরকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার পর পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীরা ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে আর সাদিক অনুসারীরা ভোলা রোডের মাথায় জিরো পয়েন্টে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
মেট্রোপলিটন বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতে হামলার বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই হলের প্রভোস্ট এবং প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা গিয়েছেন। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। তবে দুটি পক্ষে (জাহিদ ফারুক-সাদিক আব্দুল্লাহ) বিভক্ত হয়ে তারা রাজনীতি করে আসছেন।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমজেইউ