সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নির্দেশে মাছ চুরি করতে এসে ধরা পড়লেন ১০ জন

Dhaka Post Desk

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক, জাবি

১১ এপ্রিল ২০২১, ১০:৩০ পিএম


সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নির্দেশে মাছ চুরি করতে এসে ধরা পড়লেন ১০ জন

এ সময় তাদের কাছে মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জামসহ বড় জাল পাওয়া যায়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বদ্যিালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতার নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুল সংলগ্ন জলাশয়ে জাল দিয়ে মাছ চুরি করতে এসে নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে ১০ জন ধরা পড়েছেন।

রোববার (১১ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. জেফরুল হাসান চৌধুরী সজলের উপস্থিতিতে তাদের ধরা করা হয়। এ সময় তাদের কাছে মাছ ধরার বিভিন্ন সরঞ্জামসহ বড় জাল পাওয়া যায়। তবে তাদের মাছ চুরির সরাঞ্জমসহ হাতেনাতে ধরলেও বিচারের আওতায় না এনে রহস্যজনকভাবে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

ধরা পড়া জেলেরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান রাসেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাম্প হাউসের ড্রাইভার কালাম এবং ফারুক নামে একজন বর্তমান ছাত্র তাদের মাছ ধরতে পাঠিয়েছেন।

মাছ ধরার নির্দেশনার বিষয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল হাসান রাসেল বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে করিম ফোন দিয়ে বলে যে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ধরেছেন। তাই তাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করতে বলেন। কিন্তু তাকে বলি, আমি তো সাবেক হয়ে গেছি, কিছুই করতে পারব না। অনেক জোর করার পর আমি বলি, আচ্ছা ঠিক আছে আমি দেখি। এরপর আমি আর কাউকে কল দিইনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল বলেন, আমাদের দায়িত্ব ছিল তাদের ধরা। আমরা তাদের ধরে ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। বাকিটা তাদের দায়িত্ব। কালাম নামে একজন কর্মচারী এর সঙ্গে যুক্ত আছেন। আমি এস্টেট শাখাকে এটি জানিয়েছি। এখন বাকি কাজ এস্টেট শাখার। 

জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হলো কেন জানতে চাইলে এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আ রহমান বলেন, কেন ছাড়া হয়েছে; তা আমার জানা নেই। তারা সরাসরি নিরাপত্তা অফিসের আওতায় ছিল।

তিনি বলেন, মাছ চুরির কাজে ব্যবহৃত জাল বা অন্যান্য সরঞ্জামাদি সাধারণত আমরা জমা রাখি। কিন্তু চুরি করে কেউ ধরা পড়লে সেটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। নিরাপত্তা শাখা আমাদের বিষয়টি অবহিত করেছে। কিন্তু জাল বা অন্যান্য কিছু তারা আমাদের বুঝিয়ে দেয়নি।

মাছ চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মচারীর বিষয়ে তিনি বলেন, নিরাপত্তা শাখা এ বিষয়ে আমাদের লিখিত দিলে ব্যবস্থা নেব। এখন পর্যন্ত তারা লিখিত দেয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ. স. ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, তারা মাছ ধরতে আসছিল। কিন্তু মাছ ধরতে পারেনি। পরে তাদের বক্তব্য রেখে সিকিউরিটি অফিস ছেড়ে দিয়েছে। তারা আসলে গরিব মানুষ। তাদের কেউ না কেউ নিয়ে আসছে। কালাম নামের একজন স্টাফ এর সঙ্গে যুক্ত। আমি সিকিউরিটি অফিসকে বলেছি; আমাদের কোনো স্টাফ যদি এর সঙ্গে যুক্ত থাকে তার বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

মো. আলকামা/এএম

Link copied