কোটা সংস্কারের দাবিতে রাবি-রুয়েট শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে বিক্ষোভে যোগ দেন।
বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নেন। পরে সেখান থেকে রাজশাহীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আন্দোলন করেন। এ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এর আগে, বেলা ১১টার দিকে সকল হল থেকে প্যারিস রোডে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে এক বিশাল মিছিল নিয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সকল যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এমন সব স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠে পুরো ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেওয়া আবির মাহমুদ বলেন, ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ আমরা ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছি। তবে অনেকদিন যাত্রীদের কথা চিন্তা করেছি এখন আর করবো না। আমাদের দেশে শিক্ষিত যুবকের অভাব নেই কিন্তু তারপরও এই কোটার মাধ্যমে চাকরি দিয়ে শিক্ষিত বেকার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এর দায় কার? কোটা পদ্ধতির সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এ সময় রুয়েটের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা রুয়েটের সকল শিক্ষার্থী আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছি। শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সম্ভব আমাদের এ আন্দোলন বাস্তবায়ন করা। আপিল বিভাগ রায় না দিয়ে আজও চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছেন। তারা এখনো শিক্ষার্থীদের পক্ষে রায় দিচ্ছেন না। রায় আমাদের পক্ষে না আসা পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে।
রাজশাহীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক আমান উল্লাহ খান বলেন, আমরা সারা বাংলাদেশের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আজ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি। কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমাদের আন্দোলনও চলমান থাকবে।
এ সময় প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ সমাবেশে অবস্থান নেন।
জুবায়ের জিসান/এমজেইউ