গবেষণায় অবদান রাখায় ভিসি অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবির দুই শিক্ষক
গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড- ২০ পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত ৮ম বার্ষিক কনফারেন্স অন রিসার্স ফাইন্ডিং শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিন রোববার (৩০ মে) ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুই শিক্ষককে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও সাফিউল ইসলাম খান চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিন উদ্বোধনী সেশনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাস্ট রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাস্ট রিসার্চ সেন্টারের সদস্য অধ্যাপক ড. এ জেড এম মনজুর রশীদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান চৌধুরী সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড বিজনেস ক্যাটাগরি এবং রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে এ সম্মাননা লাভ করেন।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান চৌধুরী তার গবেষণার বিষয় সম্পর্কে বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ দারিদ্র বিমোচনে কতটুকু সহায়তা করে এ বিষয়ে বাংলাদেশ রুরাল ডেভেলপমেন্ট'র সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করি। গবেষণায় দেখা যায়, এ ঋণের সুফল প্রান্তিক নারীদের তেমন সহযোগিতা করে না বরং মধ্যবিত্ত শ্রেণি সুযোগ নিয়ে থাকে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারীকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে এ ক্ষুদ্র ঋণ পুরুষরা নিয়ে থাকেন।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম গবেষণার বিষয় সম্পর্কে বলেন, ভৌত রাসায়নিক পদ্ধতিতে বায়োগ্যাস থেকে পানি, কার্বনডাই-অক্সাইড ও হাইড্রোজেন ডাই সালফাইড বের করে মিথেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করা এবং ইঞ্জিন ও গৃহস্থালি কাজের জন্য তুলনামূলকভাবে বিশুদ্ধ অধিক কার্যকর বায়োগ্যাস উৎপাদন নিশ্চিত করা।
এমএএস
