জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেপ্তার ১

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ইয়াছিন মজুমদার (২৩) নামের এক যুবককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সূত্রাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার অথৈর বাবা প্রণব মজুমদার (৫৯) বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মো. ইয়াছিন মজুমদার (২৩) নামের এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। স্কুলজীবনে তাদের মধ্যে পরিচয় ছিল। আমার মেয়ে ঢাকা চলে এলে বিবাদী আমার মেয়েকে অনুসরণ করে ঢাকায় আসে এবং লালবাগ থানা ধারা এলাকায় জমিদারি ভোজ নামক রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি নেন। ইয়াছিন মজুমদার আগের মতো আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। পরে ইয়াছিন কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে অপমানজনক কথা, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন অথৈকে।
এরপর গতকাল ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত উৎসবে অনুশীলন শেষে মেসে ফেরার পথে ইয়াসিন অথৈকে গালমন্দ করেন ও উৎসবে অংশ না নিতে চাপ দেন। পরে তার (অথৈ) রুমের দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মেসের মালিকের স্ত্রী জোৎস্না বেগম প্রথম ঘটনাটি লক্ষ্য করেন। এরপর ইয়াছিন মজুমদারসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এজহারে নিহতের বাবা প্রণব মজুমদার বলেন, আমার ধারণা, বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে মেয়েটি মেসের রুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের সহপাঠীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ছুটে আসি।
আরও পড়ুন
এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, মেয়ের বাবার মামলা মোতাবেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রশাসনকে বলেছি আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।
এমএল/এমএন