ইউজিসির বাজেট বৈষম্যের প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ইউজিসি কর্তৃক বাজেট বৈষম্য করা হয়েছে— এমন অভিযোগ তুলে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ইউজিসির বাজেট বৃদ্ধি, আবাসন ভাতা ও হল নির্মাণসহ চার দফা দাবি জানান।
বিক্ষোভে তারা ‘খুলবে না আর খুলবে না, এই তালা আর খুলবে না’, ‘আমাদের দাবি, আমাদের দাবি মানতে হবে মানতে হবে’, ‘ইউজিসির বাজেট মানি না মানবো না’, ‘বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘বাতিল বাতিল বাতিল চাই, বৈষম্যের বাজেট বাতিল চাই’, ‘বাজেট নিয়ে বৈষম্য, মানি না মানবো না’, ‘বৈষম্যের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এ সময় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান তানজীল বলেন, আমরা আমাদের বর্তমান প্রশাসনের প্রতি হতাশ। আমাদের জুলাই আন্দোলনের কারণেই তারা চেয়ারে বসতে পেরেছে। কিন্তু তারা শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে ব্যর্থ। আমাদের আস্থার জায়গাটাও তারা হারিয়ে ফেলেছে। জগন্নাথের মতো একটা জায়গার চেয়ারে থেকে যদি এমন করেন তাহলে বলব প্লিজ চেয়ারটা ছেড়ে দেন।
আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, যুগ যুগ ধরে জবিয়ানরা বৈষম্যের শিকার। প্রশাসনের উচিত ছিল বাজেট বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। কিন্তু তারা তা করেনি। আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে ঘোষণা করতে চাই যদি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেও আপনারা আমাদের দাবি মেনে না নেন, তাহলে আমরা যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। পরে যদি কিছু হয় তাহলে আমাদের দায়ভার দিতে পারবেন না। আপনাদের ভালোই ভালোই বলছি আমাদের এই দাবি মেনে নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, চার দফা দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দাবি আদায়ে আগামী সপ্তাহে আমরা লংমার্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শিক্ষার্থীদের উল্লেখিত চার দফা দাবিগুলো হলো-
১. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা।
২. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং পুরাণ ঢাকায় ড. হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনের নির্মাণকাজ আগামী ১০ মে’র মধ্যে শুরু করা।
৩. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ১৫ দিন অন্তর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মুক্তমঞ্চে ব্রিফ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা।
৪. আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।
এমএল/এমএ