রাবিতে চালু হলো ‘সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ কোর্স

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতির স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। নতুন এই প্রোগ্রামে যুক্ত হয়েছে ‘এআই ইন জার্নালিজম’ বা ‘সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ কোর্স।
রোববার (২০ জুলাই) বেলা ১১টায় বিভাগের ১২৩নং কক্ষে নতুন এই কারিকুলাম নিয়ে পরিচিতিসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই পরিচিতি সভায় মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও কারিকুলাম কমিটির শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে সেমিস্টার পদ্ধতিতে স্নাতকোত্তরের এই নতুন যাত্রার জন্য শুভকামনা জানান। পরে নতুন কারিকুলাম ও সেমিস্টার পদ্ধতি নিয়ে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন কারিকুলাম কমিটির আহ্বায়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মশিহুর রহমান। তিনি কোর্স রেজিস্ট্রেশন, ক্রেডিট বণ্টন, পরীক্ষা ও গ্রেডিং পদ্ধতি এবং গবেষণাপত্রের নিয়মকানুন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন।
এ সময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে এ বছর ‘এআই ইন জার্নালিজম’ (সাংবাদিকতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) নামে নতুন একটি কোর্স যোগ করা হয়েছে। এই কোর্সের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকতার সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্রমবর্ধমান সমন্বয় সম্পর্কে আধুনিক ধারণা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, এআই ছাড়াও মিডিয়ার ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এবং ট্রান্সমিডিয়া স্টোরিটেলিংয়ের মতো বিষয়কেও কোর্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
অধ্যাপক মশিহুর রহমান বলেন, সেমিস্টার পদ্ধতির মাস্টার্স প্রোগ্রামে দুই সেমিস্টারের এমএসএস (কোর্সওয়ার্ক), তিন সেমিস্টারের এমএসএস (মিক্সড মোড) ও চার সেমিস্টারের এমএসএস (থিসিস) পদ্ধতির মধ্যে শিক্ষার্থীদের যে কোনো একটি পদ্ধতি বেছে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে শিক্ষার্থীরা নতুন পদ্ধতি নিয়ে তাদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এবং কারিকুলাম টিমের সদস্যরা সেগুলোর উত্তর দেন। সভায় বিভাগের শিক্ষক ও পিএসসির সাবেক সদস্য প্রফেসর ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নতুন কারিকুলাম নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি বলেন, নতুন কারিকুলামে গবেষণাকেও অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কারিকুলাম কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. নাজিয়াত হোসেন চৌধুরী ও সহযোগী অধ্যাপক মো. শাতিল সিরাজ।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল কারিকুলাম কমিটির সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কারিকুলাম কমিটির প্রত্যেকেই অনেক পরিশ্রম করেছেন। ছুটিতে থাকায় কারিকুলাম কমিটির অন্যতম সদস্য সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার উপস্থিত নেই। আমি কমিটিকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই, কারণ এত অল্প সময়ের মধ্যে আপনারা সবাই একটি অসম্ভব সুন্দর কাজ সম্পন্ন করেছেন। আপনাদের আন্তরিকতা ছাড়া এটা বাস্তবায়ন সম্ভব হতো না। আশা করি, শিক্ষার্থীরা এই কারিকুলামে উপকৃত হবে এবং আমরাও কী কী পড়াতে হবে সে বিষয়ে আরও সচেতন হবো।
এএমকে