ক্ষমা চাইতে বললেন শিক্ষার্থীরা, উপাচার্য বললেন, ‘কোনো অন্যায় করিনি’

বহিরাগতদের হামলা ও হল বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে ছয় দফা ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে অন্যতম দাবি- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি যে ক্ষমা চাইবেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন আমতলায় শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন। ঘোষিত দাবিসমূহের চতুর্থ দফায় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা ককটেল বিস্ফোরণ, লাইব্রেরি ও স্থাপনা ভাঙচুর এবং দেশীয় অস্ত্র দ্বারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তার ঘটনার জন্য উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
শিক্ষার্থীদের এমন দাবির প্রেক্ষিতে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমি ক্ষমা চাইব কেন? শিক্ষার্থীদের শতভাগ দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।
বহিরাগতদের হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা দাবি করছে শিক্ষকেরা বহিরাগত দিয়ে তাদের ওপর হামলা করিয়েছেন- এটি সম্পূর্ণ ভুল কথা। আমরা বাইরের কাউকে বলিনি ক্যাম্পাসে আসতে, আমরা কেন বলব? ছাত্রছাত্রীরা তো আমাদের ছেলেমেয়ের মতো। তাদের জন্যই জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডেকে বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার (৩১ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের গৃহীত সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয়ে দুপুর ১ টার দিকে সভাস্থলে তালা লাগিয়ে দেন বাকৃবির পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। এর সাত ঘন্টা পর বহিরাগতরা এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং শিক্ষকরা তালা ভেঙে বের হয়ে আসেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্ত মানছেন না। তারা আজ রেলপথ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন।
মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর/আরএআর