বাকৃবিতে প্রবেশ পত্র পুড়িয়ে রেললাইন অবরোধ, অবশেষে চলাচল স্বাভাবিক

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কর্তৃক ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচিকে অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক অ্যাখ্যা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পরীক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ময়মনসিংহের রুটের তিনটি ট্রেন তিন ঘণ্টা ধরে অবরূদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে ময়মনসিংহের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ ব্যহত হয়।
অবরূদ্ধ হওয়া তিনটি ট্রেন হলো ঢাকাগামী তিস্তা ও মহুয়া এক্সপ্রেস এবং মোহনগঞ্জগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস। পরে রাত ৮টার দিকে বিসিএস পরীক্ষার প্রবেশ পত্র পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এবং অবরোধ তুলে নেন। ফলে ময়মনসিংহ রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
এর আগে শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে আব্দুল জব্বার মোড়ে রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় রেল অবরোধের উদ্দেশ্যে রেললাইনে অবস্থান নেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা, সবাই পায় ছয় মাস, আমরা কেন দুই মাস, এক দুই তিন চার, পিএসসি তুই স্বৈরাচার, আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ, সময় চায় সময় যৌক্তিক সময় চায় ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এসময় আন্দলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, সরকারি চাকরিতে বৈষম্য নিরসনের জন্য যে জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল, সেই চাকরির ক্ষেত্রেই আবার নতুন বৈষম্যের উদ্ভব হয়েছে। পূর্বের যেসব বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় দেওয়া হতো, সেখানে এই বছর শুধুমাত্র নতুন ব্যাচের জন্য মাত্র ২ মাস সময় দেওয়া হয়েছে। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই সময় পরিবর্তনের দাবিতে আমাদের ভাইয়েরা অনশন করলেও পিএসসি সেটি নজরে নিচ্ছে না। মূলত প্রতিষ্ঠানটি আমাদের সঙ্গে স্বৈরাচারী আচরণ করছে। আমরা আন্দোলন করতে চাই না, পরীক্ষায় বসতে চাই।
এই বিষয়ে বাকৃবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম বলেন, বিসিএস পরীক্ষার বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত, এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। বিসিএস সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে একটি সুন্দর সমঝোতায় পৌঁছানোর আহ্বান জানাই। শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ, এমন কোনো কর্মসূচি না নিতে যাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়।
মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর/এমএএস