রাকসু নির্বাচন পেছানোয় নাখোশ ছাত্রশিবির, সন্তুষ্ট ছাত্রদল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের তারিখ পেছানোর প্রতিবাদে জানিয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, রাকসু বানচালের জন্য এই তারিখ পেছানো হয়েছে। বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা চান না রাকসু হোক। এদিকে নির্বাচন পেছানোতে সন্তুষ্ট ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে রাকসু কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের তারিখ পেছানোর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় ছাত্রশিবির।
সংবাদ সম্মেলনে রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও রাকসুতে সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, এই নির্বাচন কমিশন একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। এ রকম প্রহসন কাম্য নয়। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রার্থীরা ক্লাস করতে পারেনি, অনেক টাকা খরচ করেছে। এই কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। ছাত্রদল হলগুলোতে প্যানেল দিতে পারেনি তাই আরেকবার নির্বাচন পিছিয়েছে কমিশন। পোষ্য কোটা, শাটডাউন, লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিএনপির শিক্ষকেরা ষড়যন্ত্র করেছে। বিএনপির শিক্ষকদের দলীয় সিদ্ধান্তে এসব হচ্ছে। আজ স্লোগানে স্লোগানে মিথ্যাচার করেছে ছাত্রদল। এটি একটি দলদাস নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন
রাবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ছাত্রদল ও বামপন্থিদের দাবিতে ১৬ অক্টোবর পিছিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যারা কিছুদিন আগে সিনেট থেকে শিক্ষার্থীদের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওয়াকআউট করেছিল। এই কমিশনের কোনো মেরুদণ্ড নেই।
সংবাদ সম্মেলন শেষে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
এদিকে রাকসু নির্বাচনের তারিখ পেছানোর ঘোষণা পর ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক ও রাকসুতে জিএস প্রার্থী নাফিউল জীবন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ১৬ অক্টোবর তারিখ ঘোষণা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেটাকে স্বাগত জানিয়েছে। আমরা সবাইকে অংশগ্রহণমূলক একটা নির্বাচন দেব। এই সিদ্ধান্তে আমরা সন্তুষ্ট।
সার্বিক বিষয়ে রাত সাড়ে ৯টায় নির্বাচন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, ক্যাম্পাসের সার্বিক ঘটনায় আমরা বাধাগ্রস্ত হয়েছি। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কাউকে পাশে পাইনি। একটি সভা হয়েছিল, সেখানে কর্মকর্তা-শিক্ষকদের উপস্থিতি হতাশাজনক। শিক্ষক-কর্মকর্তা ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণের ছন্দপতনের দায় কমিশন নেবে না। কমিশন স্বাধীন হলেও সকল ঘটনায় প্রভাবিত। ১৬ অক্টোবর সকলকে নিয়ে রাকসু নির্বাচন করতে চাই।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেন। এতে বর্তমানে অনূকুল পরিবেশ না থাকায় আগামী ১৬ অক্টোবর নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়।
জুবায়ের জিসান/আরএআর