গুইমারায় ৩ উপজাতিকে হত্যার প্রতিবাদে চবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার এলাকায় আখ্র মারমা, আথুইপ্রু মারমা ও থৈইচিং মারমাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে একদল শিক্ষার্থী এ কর্মসূচি পালন করেন।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তারেক মনোয়ার বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর আমাদের তিন উপজাতি ভাইকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে ইউপিডিএফ। এছাড়া তারা সেনাবাহিনীর তিন কর্মকর্তা ও মোট ১০ সদস্যকে আহত করেছে। এসব তাদের নিয়মিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অংশ। পাহাড়ে সক্রিয় ইউপিডিএফ-জেএসএসসহ সব সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অস্ত্রমুক্ত করে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে হবে। তারা শুধু বাঙালিদের ওপর নির্যাতন চালায় না, সাধারণ পাহাড়িরাও তাদের নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
আরবি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হারুনুল ইসলাম রিফাত বলেন, অনেকে মনে করেন আমরা বাঙালিরা কেবল বাঙালিদের বিপদেই পাশে দাঁড়াই-কিন্তু তা সত্য নয়। ইউপিডিএফের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অপরাধের সুষ্ঠু বিচার আমরা চাই। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। তারা ভারতে গিয়ে অস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশ, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এটি শুধু বাঙালি বা মুসলমানদের বিরুদ্ধেই নয়, পাহাড়ের উপজাতি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও একইভাবে নৃশংসতা চালানো হচ্ছে।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল রায়হান বলেন, গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ড এখন খাগড়াছড়িতে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে রাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। যাদের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলছি, তাদের প্রভাব শুধু জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় নয়- আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বিস্তৃত। কেউ কেউ এমনকি জাতিসংঘে চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। রাষ্ট্র আসলে ইউপিডিএফের দালালদের পাশে, না বাংলাদেশপন্থীদের পাশে- তা আমরা বুঝে উঠতে পারছি না। খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে অবাধে মাদক চোরাচালান চলছে, অথচ প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা সব অপরাধের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার দাবি করছি।
আতিকুর রহমান/এআরবি