নতুন জ্ঞান সবার দোরগোড়ায় পৌঁছাতে কাজ করছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি : উপাচার্য

নতুন জ্ঞানকে সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গ্রিন ইউনিভার্সিটি নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন। তিনি বলেন, গবেষণাভিত্তিক জ্ঞানচর্চা ছাড়া সমাজ ও রাষ্ট্রের অগ্রগতি সম্ভব নয়। তাই টিচিংয়ের পাশাপাশি গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের কনফারেন্স, উদ্ভাবন ও পিয়ার-রিভিউ গবেষণাকর্ম নিয়মিত আয়োজন করছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘ইনোভেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (আইটিডি) ২০২৫’ শীর্ষক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন বলেন, নতুন জ্ঞান সবার কাছে সহজে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তন, মানবকল্যাণ এবং টেকসই উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখাই বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য। সেজন্য গবেষণায় জোর দিয়ে জ্ঞানচর্চা ও উদ্ভাবনকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আইটিডি আয়োজন করছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। আগামী ২৭ ও ২৮ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা—এই দুই ভিত্তিকে সমান গুরুত্ব না দিলে বিশ্ববিদ্যালয় এগোয় না। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মূলত ‘টিচিং ইনটেন্সিভ’ ছিল। এখন বিশ্বমানের র্যাংকিং কাঠামোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধীরে ধীরে ‘রিসার্চ ইনটেন্সিভ’ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। আর এ গবেষণা চর্চাকে শক্তিশালী ভিত্তি দিতেই গ্রিন ইউনিভার্সিটি নিয়মিত দুটি ফ্ল্যাগশিপ কনফারেন্স আয়োজন করে আসছে—এসটিআই এবং আইটিডি।
তিনি জানান, আইটিডি কনফারেন্সটি প্রথম আয়োজন হয় ২০২২ সালে। এরপর প্রতিবছর সাবমিশন ও গবেষণার মান বেড়েছে। ২০২৫ সালের কনফারেন্সে বিশ্বের পাঁচটি দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে আগত গবেষকরা অংশ নিচ্ছেন। এবার ২৫০টির বেশি পেপার জমা পড়েছে, যেগুলো পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছে। পেপারগুলোর বৈজ্ঞানিক বৈধতা, কার্যকারিতা এবং সমাজ–রাষ্ট্রের উপকারে আসার সম্ভাবনা বিবেচনা করে সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।
এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘টেকসই ব্যবসা ও আইনের অগ্রগতি : উদীয়মান অর্থনীতিতে পরিবেশ, সমাজ এবং সুশাসনের সমন্বয়’।
উপাচার্য আরও বলেন, উদ্ভাবন হচ্ছে উন্নয়নের চাবিকাঠি। নতুন জ্ঞান কীভাবে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছায়, কীভাবে তা সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে—এই কনফারেন্স সেই পথ খুলে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, শুধু টিচিং দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলে না। ২০২৫ সালের ইউনাইটেড নেশনস সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। যা গবেষণায় ধারাবাহিক অগ্রগতির ফল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্সের কনভেনর ও গ্রিন বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তারেক আজিজসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
আরএইচটি/জেডএস