শীতকালীন পিঠাসহ নানা আয়োজনে ইবিতে হৈমন্তী উৎসব

শীতকালীন পিঠা, লাইব্রেরি, খিচুড়ি, ফটো কর্নারসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী ও অরাজনৈতিক সংগঠন ‘তারুণ্য’ আয়োজন করে হৈমন্তী উৎসব। রোববার (৩০ নভেম্বর) দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা প্রাঙ্গণে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, হৈমন্তী উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর উপস্থিতি। শিক্ষার্থীরা নিজেদের হাতে তৈরি নানা রকম শীতের পিঠা-পায়েশ নিয়ে আসেন। অনুষ্ঠানস্থলের এক কোণে স্থাপন করা হয় একটি রিভিউ বোর্ড, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা উৎসব সম্পর্কে তাদের মতামত লিখে যেতে পারে। বোর্ডে বিভিন্ন ধরনের মতামত লেখা দেখা যায়, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মতাতাতগুলো হচ্ছে- এ ধরনের আনন্দমুখর উৎসবের পরিবেশ সবসময় চাই, শীতের রিক্ততায় যখন মন কাঁপে, তারুণ্যের হৈমন্তী উৎসব তখন বসন্তের আভাস দেয়, অনুষ্ঠানটি খুব ভালো হয়েছে, সুন্দরী আপুদের রান্না খারাপ হতে পারে না, ঝালমুড়ির ঝাল প্রত্যাশার চেয়ে বেশি, তবে ভালো হয়েছে, জামাই পিঠা আমার জামাই থেকেও মিঠা, সাজসজ্জা খুব সুন্দর, বিশেষ করে বইয়ের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি।
উৎসবে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বিভিন্ন ধরনের পিঠা- নকশি পিঠা, ডালপুরি, তেলপিঠা, পুলি পিঠা, পায়েস, ঝালপুলি, তেজপাতা পিঠা, নারকেল পুলি, দুধ চিতই, ফুলঝুরি পিঠা, ডালের চপ, বেগুনির চপ, আলুর চপ ও খিচুড়ি।
ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জেসমিন বলেন, আজকে তারুণ্যের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে হেমন্ত উৎসব ১৪৩২। শীতের ঐতিহ্যবাহী খাবার- খিচুড়ি, নানা রকম পিঠা-পুলি- সবই রয়েছে। দোলনার ব্যবস্থাও করেছে, যা বেশ আকর্ষণীয়। সবাই পিঠা খেতে আগ্রহ দেখাচ্ছে, আমিও কয়েকটি পিঠা খেয়েছি, খুব ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে এটি সত্যিই একটি প্রাণবন্ত উৎসবে পরিণত হয়েছে।
তারুণ্যের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহম্মেদ হিমেল বলেন, সৃজনশীলতা, বন্ধুত্ব আর সাংস্কৃতিক চর্চাকে আরও এগিয়ে নিতে আমরা আয়োজন করেছি হৈমন্তী উৎসব ১৪৩২। চেষ্টা করেছি শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদ, আনন্দমুখর ও উন্মুক্ত পরিবেশে উৎসব উপভোগ করতে পারে। বিভিন্ন খাবারের পাশাপাশি ফটোফ্রেমের ব্যবস্থাও করেছি, যাতে শিক্ষার্থীরা এই উৎসবকে স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারে। আমরা আশা করি, তারুণ্যের এই হৈমন্তী উৎসব ১৪৩২ সাংস্কৃতিক চর্চায় একটি রঙিন অধ্যায় হয়ে উঠবে।
এআরবি