বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ডাকসুর শোক প্রকাশ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) শোক প্রকাশ করছে।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ এবং এজিএস মহিউদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ শোক জানানো হয়।
শোকবার্তায় বলা হয়, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর দেশের এক অন্ধকার সময়ে বেগম খালেদা জিয়া দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় উঠে দাঁড়িয়েছিলেন। স্বৈরাচারের দমন-পীড়ন ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে মোকাবিলা করে তিনি হয়ে উঠেছিলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রধান মুখ, জনপ্রত্যাশার কেন্দ্রবিন্দু।
ডাকসু জানায়, বাংলাদেশের আলেম-ওলামাসহ আধিপত্যবাদ বিরোধী শক্তির প্রতি যখন অপবাদ, ষড়যন্ত্র ও বিভাজনকে হাতিয়ার করে দেশপ্রেমিক শক্তিসমূহকে ধ্বংসের চেষ্টা চালিয়েছিল ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ তখন বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন সত্য, ন্যায় ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে অবিচল। তিনি কখনো বিদেশি তোষামোদ বা চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি; বাংলাদেশকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি৷
তারা আরও জানান, স্বৈরতন্ত্র, ভিনদেশি আধিপত্যবাদ এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে হওয়া গণআন্দোলন এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অনন্য অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ২০১৩ সালে শাহবাগের ইসলামবিদ্বেষী উন্মাদনা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, বিপরীতে শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ জনতার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কারাবন্দি আলেম ও আধিপত্যবাদ বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে তার আপোষহীন অবস্থান ছিল বিরল সাহসের দৃষ্টান্ত।
জুলাই বিপ্লবে জাতীয় মুক্তির পূর্বে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নির্মম শিকার হয়ে তাকে বাড়িছাড়া হতে হয়। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন কারাবাস ও চিকিৎসা বঞ্চনা, সবকিছুই তিনি সহ্য করেছেন অটল বিশ্বাস ও দৃঢ়তা নিয়ে। তার জীবন ছিল সংগ্রাম, তার পথচলা ছিল প্রতিরোধ, আর তার মৃত্যু বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে গভীর শূন্যতা সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহাবস্থান, নাগরিক অধিকার ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের সংগ্রামে তার অবদান যুগ যুগ ধরে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
এসএআর/এমএন