ঢাবিতে ফারুক হোসাইনের স্মরণে শোকসভা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসাইনের স্মরণে এক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ শোকসভায় ভার্চুয়ালি ও সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন- ঢাবির সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের বর্তমান পরিচালক প্রফেসর ড. গোলাম আজম, প্রাক্তন পরিচালক প্রফেসর ড. এএসএম আতিকুর রহমান, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আশরাফুজ্জামান, প্রফেসর ড. সৈয়দা আফরিনা মামুন, প্রফেসর মো. শরীফুল ইসলাম, প্রফেসর আখতার হোসেন মজুমদার, ড. মুহাম্মদ আশরাফুল আলম।
ফারুক হোসাইনের সহপাঠীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জনতা ব্যাংকের ডিজিএম মিসেস সাবিকুন্নাহার, পুলিশ সুপার আবদুল মাবুদ দুলাল, ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, উপ সচিব রাজা মিয়া, উপ সচিব আন্দ্রে দ্রং, ইসলামী ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম নাজিম উদ্দীন, উত্তরা ব্যাংকের ডিজিএম আইউব হোসেন, বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক শাহীনা সুলতানা, সিনিয়র উন্নয়ন কর্মী মির্জা কামরুন্নাহার নার্গিস, সহকারী অধ্যাপক নাজমা পারভীন জুথি, মরহুমের সহধর্মিণী সহকারী অধ্যাপক ড. মাহমুদা মামুন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, ঢাবির সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রফেসর ও ড. ফারুকের সহপাঠী প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানী ভূবন।
শোকসভায় বক্তাগণ বলেন, প্রফেসর ফারুক ছিলেন ছাত্রবান্ধব এমন একজন শিক্ষক যার তুলনা তিনি নিজেই। তিনি ছিলেন দুর্লভ গুণের অধিকারী। পরোপকারী। বন্ধুদের সঙ্গে যেমন প্রাণখোলা ব্যবহার করতেন ঠিক তেমনি ছাত্রদের সঙ্গেও বন্ধুর মত আচরণ করতেন। তিনি ছিলেন অনুকরণীয় একজন ব্যক্তিত্ব।
তারা বলেন, নিজের শত কষ্ট কখনো তিনি বলতেন না। বরং হাসিমুখে উদারচিত্তে সবকিছুকে গ্রহণ করতেন। প্রফেসর ফারুক ঢাবিতে লেখাপড়া করেছেন। কিন্তু নিজের কর্মগুণে বিকশিত হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। পরে ফারুক হোসাইনের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ফারুক হোসাইন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২৭ ডিসেম্বর ভারতের মুম্বাই টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আইএসএইচ
