বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির জরুরি সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা কলেজের শহীদ আ.ন.ম. নজিব উদ্দিন খান খুররম মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জরুরি সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সর্বশেষ নির্বাচিত বিদায়ী কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। এতে সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট থেকে প্রায় দুই হাজার শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা অংশ নেন।
সাধারণ সভায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির নির্বাচনের জন্য কমিশন গঠন ও তারিখ নির্ধারণ করা হয়। উপস্থিত সাধারণ সদস্যদের প্রস্তাবনা ও সম্মতির ভিত্তিতে সমিতির গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। যেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সদ্য বিদায়ী অধ্যক্ষ অধ্যাপক ঈমান আলী ও সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সরকারি তিতুমীর কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবেদা সুলতানা, অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (অব.), সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী, ঢাকা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মুজাহিদুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিশনকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সার্বিক সহায়তা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সমিতির রুটিন ওয়ার্ক পরিচালনার জন্য ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে আহ্বায়ক হিসেবে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর, যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার ও সদস্য সচিব হিসেবে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলী দায়িত্ব পালন করবেন।
এছাড়াও নির্বাচন সামনে রেখে সাধারণ সভায় আরও কিছু সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়। সেগুলো হলো-
১. ৩৮তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) পর্যন্ত সব কর্মকর্তাকে আপাতত বার্ষিক চাঁদা ছাড়াই ভোটার করা হবে।
২. চাঁদার বিষয়ে নির্বাচিত কমিটি পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৩. সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ডে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নানা সমস্যা নিরসনের জন্য সমিতির গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা ক্যাডার সংখ্যায় বৃহত্তর হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় কর্মকর্তারা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমরা প্রত্যাশা করি, এ সাধারণ সভার মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচনে যোগ্য নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন— বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক মো. মাসুমে রব্বানী খান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহসিন কবির, স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিনসহ সিনিয়র নেতারা।
আরএইচটি/এসএসএইচ