‘সরহারি কম্বল কই যায় জানি না’

‘মেলা দিন ধইরে টেহার অভাবে শীতের কাপড় কিনতা পারতাছি না। সরহারি কম্বল কই যায় জানি না। আমরা গরিব মানুষ। শীত আইলেই কষ্ট করণ লাগে। কিন্তু কেউ আমরার খবরডাও নেয় না। দুই বছর পরে আউজগা একটা কম্বল পাইলাম। খুব ভালা কম্বল। যারা আমরার মত গরিব মাইনষেরে কম্বল দিছে তারার লাইগ্যে দোয়া করি। হেরারে আল্লায় ভালা রাহুক।’
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া পৌর শহরের সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শীতবস্ত্র (কম্বল) নিতে আসা অসহায় বৃদ্ধা সালেহা বেগম (৮০)।
শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কেন্দুয়া উপজেলার কীর্তনখোলা গ্রামের বাসিন্দা সাহেলা বেগমের মতো উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক গরিব-অসহায় ও প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ কম্বল নিতে একত্রিত হয়েছিলেন ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।
এ সময় প্রতিবন্ধী হারুন মিয়া, বৃদ্ধ জব্বার মিয়া, আবুল কাশেম, অসহায় বৃদ্ধা ফুলেছা বেগম, মনোয়ারা আক্তার, আনোয়ারা বেগম, সখিনা বেগম ও নূরেছা খাতুনসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে কম্বল পেয়ে তারা খুবই খুশি বলে জানান।
‘সাহায্য নয় উপহার, পাশে থাকব অঙ্গীকার’ এই স্লোগান নিয়ে ৩৮তম বিসিএস ক্যাডার পরিবারের (সুপারিশপ্রাপ্ত) উদ্যোগে অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
সাবেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুখলেছুর রহমান বাঙ্গালীর সভাপতিত্বে ও ৩৮তম বিসিএস ক্যাডার পরিবারের সদস্য (প্রশাসন) পায়রা চৌধুরীর পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি কেন্দুয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. বজলুর রহমান, বিশেষ অতিথি কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ, ৩৮তম বিসিএস ক্যাডার পরিবারের সদস্য শাহনাজ পারভীন (শিক্ষা), মৌমিতা ইভা (প্রশাসন),কাউসার আহমেদ (কৃষি), কামরুল ইসলাম (শিক্ষা),ফকির এমদাদ (শিক্ষা), তারিকুর রহমান (শিক্ষা) ও নাজনীন সুলতানা সুইটি (শিক্ষা) বক্তব্য দেন।
৩৮তম বিসিএস ক্যাডার পরিবারের সদস্য (শিক্ষা) নাজনীন সুলতানা সুইটি বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আমরা ৩৮তম বিসিএস ক্যাডার পরিবার বদ্ধ পরিকর। এরই অংশ হিসেবে আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের সাধ্য অনুযায়ী কিছু অসহায় শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণে অংশীদার হওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র। এ রকম কার্যক্রম ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
আরএআর