পদ্মায় নাব্যতা-সংকটে দৌলতদিয়ায় ৪ কিলোমিটার যানজট

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য রাজধানীর প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় চার কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। ফলে এ রুট ব্যবহারকারী যানবাহনগুলোকে ফেরির জন্য দীর্ঘ সময় মহাসড়কে অপেক্ষা করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, রোববার (১৩ মার্চ) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ফেরি পার হতে আসা যানবাহনগুলোর দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ সিরিয়াল আরও বাড়তে থাকে। পদ্মায় নাব্যতা-সংকটের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং ফেরিতে গাড়ি লোড-আনলোডে সময় বেশি লাগছে।
সরেজমিনে বেলা ২টার সময় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিড মিল পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েকশ যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। অপেক্ষমাণ এসব যানবাহনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি। দীর্ঘ সময় সিরিয়ালে আটকে থাকা এসব যানবাহনের চালকদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মহাসড়কে আটকে থাকা ট্রাকচালক লিটন শেখ বলেন, গতকাল ভোর রাতে ঘাটে এসেছি। এখনো সড়কেই আটকে আছি। আশপাশে টয়লেট ও গোসলখানা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ ছাড়া খাবার হোটেল থাকলেও তাতে অতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে। এভাবে মহাসড়কে দিনের পর দিন আটকে থাকায় আমাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নদীতে পানি কমে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চর পড়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এতে উভয় ঘাটেই ফেরি ভিড়তে সময় বেশি লাগছে। এতে গাড়ি পারাপারেও সময় বেশি লাগছে।
তিনি জানান, অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হচ্ছে। বর্তমানে এ রুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে।
মীর সামসুজ্জামান/এনএ/জেএস