প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিলেন এমপি নাসির
নিজের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন যশোর-২ (ঝিকরগাছা- চৌগাছা) আসনের সংসদ সদস্য ও বীরমুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. নাসির উদ্দীন।
এতে তিনি বলেছেন, গত ১৫ ও ১৬ মার্চ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য পরিবেশন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এতে আমার ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। গুজব সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে সতর্ক ও সংবাদ পরিবেশনে দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, গত ১৫ মার্চ দুপুর ১২টায় ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে সভা হয়। ওই সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ বাশার ও আব্দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বীরমুক্তিযোদ্ধা কাদের ও মুহাম্মদ বাশার ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদকে জানান সংসদ সদস্য নাসির সাহেব তাদের অপমান করেছেন। ওই কথার ওপর ভিত্তি করে মুছা মাহমুদের অনুসারী ইমরান হোসেন সাদ্দাম তথ্য বিকৃত করে আমার (এমপি) বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এ নিয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল ঢাকাপোস্ট.কমে সংবাদও প্রকাশ হয়েছে।
তিনি বলেন, ওই সভায় উপস্থিত বীরমুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, ইদ্রিস আলী, রশিদুর রহমান, আব্দুর রশিদ, মোহাম্মদ মন্টু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
প্রকৃত ঘটনা হলো, আমি সভায় উপস্থিত বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বলেছি, আমি নিজেও একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। আপনারা আমার সহযোদ্ধা। আপনারা দীর্ঘদিন নিজেদের মধ্যে বিভেদ করে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দুটো গ্রুপ করেছিলেন। আমি আপনাদের একত্রিত করে দিয়েছি। আপনারা যারা মুছা মাহমুদের পরামর্শে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স দখল করতে চাইছেন, তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। আমি মুক্তিযোদ্ধা তাই এসব ষড়যন্ত্র করতে দেব না। শেষ বয়সে কোনো বীরমুক্তিযোদ্ধাকে বিভেদ করতে দেব না। এসব কঠোর হস্তে দমন করা হবে। মুছা মাহমুদ মুক্তিযোদ্ধা নয়। আপনারা যারা তার পরামর্শে বিভেদ করছেন, তারা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করছেন। আপনারা আমাকেও ছোট করছেন। একজন অমুক্তিযোদ্ধার কাছে মাথানত করে তার পরামর্শে চলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি নিজে মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও মর্যাদার প্রশ্নে কোনো আপোস নেই। বীরমুক্তিযোদ্ধা ও আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি চক্র মিথ্যাচারে নেমেছে। তার বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, ঝিকরগাছায় মুক্তিযোদ্ধারা দুটি গ্রুপে বিভক্ত। একটি গ্রুপ বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ডাক্তার মো. নাসির উদ্দিনের। অপর গ্রুপ সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনিরের অনুসারী।
জাহিদ হাসান/এমএএস