মারামারির প্রতিবাদ করায় চড়-ঘুষি, লজ্জায় ফাঁস নিল মাদরাসাছাত্রী

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার দুই দিন পর মাসুমা আক্তার (১৭) নামে এক মাদরাসাছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। রোববার (২০ মার্চ) বিকেলে নিজ বাড়িতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
মাসুমা আক্তার চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হকপাড়ার আমিনুল ইসলামের মেয়ে ও চুয়াডাঙ্গা ফাজিল মাদরাসার আলিম (এইচএসসি) প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সে পড়াশোনার পাশাপাশি অসুস্থ বাবার দোকানও দেখাশোনা করত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে দোকানের মধ্যে পৌর এলাকার আরামপাড়ার মোবারকের ছেলে কালামের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে একজনের মারামারির ঘটনা ঘটে। দোকানের মধ্যে মারামারি করতে দেখে মাসুমা আক্তার তাদের নিষেধ করে। এতে মাসুমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে প্রকাশ্যে চড়-ঘুষি মারে কালাম। এরপর হাতুড়ি নিয়ে পেটাতে গেলে সে পালিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
এ ঘটনায় রোববার বিকেলে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার কথা ছিল। তার আগেই লোকলজ্জার ভয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মাসুমা। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, চার বোনের মধ্যে মাসুমা আক্তার ছিল সবার ছোট। দীর্ঘ দিন ধরে মাসুমাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল কালাম। এর আগে অ্যাসিড মারার হুমকিও দিয়েছিল।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিছুজ্জামান লালন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাবা অসুস্থ থাকায় মাসুমা পড়াশোনার পাশাপাশি দোকান দেখাশোনা করত। শুক্রবার দোকানের মধ্যে স্থানীয় এক যুবক তাকে চড়-ঘুষি মারে। এতে লোকলজ্জায় মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। অভিযুক্তকে আটকের জন্য অভিযান চালাচ্ছি।
আফজালুল হক/এসপি