রাঙামাটিতে জয় হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন

রাঙামাটিতে ছাত্রলীগ কর্মী জয় ত্রিপুরাকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পরও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি এবং দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। রাঙামাটি শহরে এর আগে এমন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়নি। এতে প্রতিয়মান হয় যে কেউ নিরাপদ নয়। আপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটতেই থাকবে।
বক্তারা আরও বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে জয়ের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
মানবন্ধনে ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামে শতাধিক কর্মী অংশ নেয়। এই মানবন্ধনে ছাত্রলীগ রাঙামাটি জেলা শাখা সংহতি প্রকাশ করেন।
মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, শুক্লা ত্রিপুরা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঝিনুক ত্রিপুরা, বালুখালী ইউপি মেম্বার জীবনশ্রী ত্রিপুরা, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম কলেজ শাখার সভাপতি সীমা ত্রিপুরা, ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক টিটু ত্রিপুরা, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অঞ্জুলাল ত্রিপুরা, কেন্দ্রীয় সভাপতি নয়ন ত্রিপুরা, কিল্লামুড়া ত্রিপুরা কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রূপায়ন ত্রিপুরাসহ অন্য নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ গভীর রাতে অসুস্থ আওয়ামী লীগ নেতাকে হাসপাতালে রেখে বাড়ি ফেরার পথে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের গেটে ছুরিকাঘাতে নিহত হন রাঙামাটি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক জয় ত্রিপুরা।
সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জানিয়েছিলন, মঙ্গলবার রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জমিরউদ্দিন হঠাৎ অসুস্থ হলে তাকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রামে স্থানান্তর করলে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। খবর পেয়ে জয় তাকে দেখতে হাসপাতালে যান। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার মোটরসাইকেল আটকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে চুরিকাঘাত করে। পরে হাসপাতালে নিলে মারা যান তিনি।
মিশু মল্লিক/এনএ