‘আল জাজিরার তথ্যচিত্র আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ’

কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরায় বাংলাদেশ নিয়ে প্রচারিত তথ্যচিত্র ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ’ বলে উল্লেখ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মন্ত্রী বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা প্রধানমন্ত্রীকে সম্পৃক্ত করে কোনো কথা বলতে পারেনি। অথচ ‘সবাই প্রধানমন্ত্রী লোক’ বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি। এটা হচ্ছে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মত। আল জাজিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে কাটপিস করে এনে জোড়াতালি লাগিয়ে কিছু একটা বানিয়ে বিভিন্নভাবে এ অপপ্রচার চালাচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কারা এ ব্যাপারে জড়িত তা খুঁজে বের করতে। জনগণের ওপর আমাদের বিশ্বাস আছে। আমরা মনে করি জনগণ এসব অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবে না।’
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের বঙ্গতাজ অডিটরিয়ামে কর অঞ্চল-গাজীপুর-এর উদ্যোগে ‘সেরা করদাতা সম্মাননা ও সনদপত্র প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কর অঞ্চল গাজীপুরের কর কমিশনার খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদত সরকার, মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির পরিচালক (ফিন্যান্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল হক, গাজীপুর ট্যাক্সেস বারের সভাপতি আহসান উল্লাহ অন্তু, সোলায়মান হাসান ও অতিরিক্ত কর কমিশনার আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের প্রস্তাবনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যে সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন সে সময় তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। বীরত্বের কারণে তাকে খেতাব দেয়া হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা কী বলেছে আর তিনি নিজে কী বলেছেন, তার রেকর্ড আছে। এ ছাড়া আমাদের কাছে দালিলিক প্রমাণ আছে।’
বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রচলিত আইনে আছে মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা চলে না, রায় দেওয়া যায় না। আদালত তাই রায়ের এ প্রসঙ্গে কিছু বলেন নি। তার মানে এই নয় জিয়াউর রহমান দায়ী নন। আমরা আক্রশমূলক কিছু করছি না। জাতির পিতার হত্যাকারী ও সহযোগীদের ন্যূনতম বিচার হবে না, তা হতে পারে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের সবার সম্পদের ওপর অন্যের হক আছে। ধর্মীয় নিয়মে যা জাকাত রাষ্ট্রীয় নিয়মে তা কর। কর দেওয়া আমাদের গর্বের, গৌরবের। আমাদের দেওয়া করের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বৃদ্ধি পায় এবং এ সম্পদ জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে গাজীপুর কর অঞ্চল থেকে ৬৮৮ কোটি টাকা কর দেওয়া অব্যশই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
মিলটন খন্দকার/এমএসআর