ডিআইজি হাবিবুর রহমান স্যার সব সময় আমাদের খোঁজখবর রাখেন

‘কাউকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া নয়’— এই স্লোগান সামনে রেখে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পূর্বপাড়ায় (যৌনপল্লি) ১ হাজার ৫০০ অসহায় নারী ও হিজড়ার মধ্যে ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমানের হাতে গড়া প্রতিষ্ঠান উত্তরণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দৌলতদিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র-সংলগ্ন মাঠে এসব বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ডিআইজি হাবিবুর রহমানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অসহায় নারীদের হাতে শাড়ি তুলে দেন রাজবাড়ী পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান।
অসহায় নারী ঐক্য সংস্থার সভানেত্রী ঝুমুর বেগম বলেন, ডিআইজি হাবিবুর রহমান স্যার আমাদের সব সময় খোঁজখবর রাখেন। তিনি করোনাকালীন বারবার খাদ্যসহায়তা দিয়েছেন। চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। কোরবানির ঈদের সময় গোস্তের ব্যবস্থা করেছেন। যা ইতিপূর্বে কখনোই হয়নি। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, বর্তমানে মানবিক পুলিশ কার্যক্রমেরে অংশ হিসেবে পুলিশের আইকন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান স্যারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১ হাজার ৫০০ অসহায় নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য শাড়ি তুলে দেওয়া হয়েছে। স্যার সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।

তিনি যৌনকর্মী, হিজড়া, বেদেপল্লির বাসিন্দাসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সব সময় কাজ করছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি তাদের নিয়ে ভাবেন। তারই অংশ হিসেবে ঈদুল ফিতরে যাতে তারাও নতুন শাড়ি পরতে পারে, এ জন্য আজকের এই অনুষ্ঠান।
শুধু তা-ই নয়, উত্তরণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গোয়ালন্দে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশুদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. সালাহউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, শিল্পপতি মো. সেলিম মুন্সী, গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদ রায়হান, যৌনকর্মীদের নিজস্ব সংগঠন অসহায় নারী ঐক্য সংগঠনের সভাপতি ঝুমুর বেগম প্রমুখ।
মীর সামসুজ্জামান/এনএ