গাড়ির চাকা দুই মিনিট ঘুরলে বন্ধ থাকে ২০ মিনিট

শিল্পাঞ্চল সাভারের সব কারখানা আজ থেকে ছুটি হয়েছে। গ্রামে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে একযোগে ঘরমুখো হয়েছেন শ্রমিকরা। কেউ পিকআপ, কেউ রিজার্ভ বাস আর কেউ লোকাল বাসে করে বাড়ি যাচ্ছেন। মোটরসাইকেলে করেও যেতে দেখা গেছে অনেককে।
শনিবার দুপুর থেকে সাভারের প্রায় সব বাসস্ট্যান্ডে বেড়েছে যানবাহন ও শেকড়ের টানে বাড়িমুখী মানুষের চাপ। ফলে মহাসড়কে দেখা দিয়েছে থেমে থেমে যানজট।
সাভার, নবীনগর, বাইপাইল ও জীরানি বাজার বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কের নবীনগর থেকে জীরানি বাজার পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার এবং টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বাইপাইল থেকে জিরাবো বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়ছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা।
বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় রিজার্ভ বাসে করে বাড়ি রওনা হওয়া শিল্পী বেগমের সঙ্গে। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, আমরা বিকেল ৪টায় জিরাবো থেকে রওনা করেছি। বাইপাইল আসতে আমাদের দুই ঘণ্টা লেগেছে। যানজট ও গরমে আমরা নাজেহাল হয়ে পড়েছি। গাড়ির চাকা দুই মিনিট ঘুরলে বন্ধ থাকে ২০ মিনিট।

আরেকটি বাসের যাত্রী জান্নাতুন্নাহার বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিশমাইল থেকে সেলফি পরিবহনে আরিচা ঘাট পর্যন্ত যাওয়ার জন্য উঠেছি। নবীনগর যাওয়ার ১০ মিনিটের রাস্তা আসতে ১ ঘণ্টা লেগেছে। গাড়ির চাকা এখন বন্ধ রয়েছে। পুরো রাস্তায় থেমে থেমে গাড়ি চলছে। যে কোনোভাবে বাড়িতে পৌঁছাতে পারলেই হলো।
আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক মোমেন বলেন, এবার তুলনামূলক যানজট কমই আছে। আজ বিকেল থেকে একটু বেড়েছে। থেমে থেমে যানজট হলেও গরমের কারণে যাত্রীরা নাকাল হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, আমিনবাজার থেকে চন্দ্রা ও নবীনগর থেকে ধামরাই পর্যন্ত আমাদের ২৫টি টিমে প্রায় দেড়শতাধিক পুলিশ সদস্য কাজ করছেন। বিকেলের পরে একটু গাড়ির চাপ বেড়েছে। তবে গুরুতর যানজট মহাসড়কে নেই। আমরা ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মহাসড়কে রয়েছি।
মাহিদুল মাহিদ/এমএএস/জেএস