যাবজ্জীবন সাজা এড়াতে ২৭ বছর আত্মগোপনে ছিলেন তিনি
স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজা মাথায় নিয়ে ২৭ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন নজরুল ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। রাজশাহীর তানোর এলাকার এই বাসিন্দা স্থায়ী হয়েছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের সুন্দরপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায়। নাম-পরিচয় পাল্টে সেখানে বিয়েও করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। শনিবার (৩০ এপ্রিল) ভোররাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে তানোর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার নজরুল ইসলাম তানোরের ছাঐড় এলাকার মৃত ভন্ডু মন্ডলের ছেলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিজের নাম আব্দুল আজিজ এবং বাবার নাম মশির মন্ডল উল্লেখ করে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র নেন। দ্বিতীয় বিয়ে করে সেখানেই স্থায়ী হন। এই সংসারে তার তিন সন্তান রয়েছে।
নজরুল ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করতেন। মাঝে মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে আসতেন। কিন্তু এই ২৭ বছর পরিবারের সঙ্গে একেবারেই বিচ্ছিন্ন ছিলেন তিনি।
তানোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে নজরুল ইসলামের নামে ১৯৯৫ সালের ২৭ মে তানোর থানায় হত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। স্ত্রীকে হত্যার দায়ে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলা হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলেন নজরুল।
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে দীর্ঘদিন ধরেই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছিলেন নজরুল। নাম-পরিচয় পাল্টে আলাদা সংসারও করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোররাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের সুন্দরপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর