রেলকর্মী-বহিরাগতদের সিন্ডিকেটে টিকিট কালোবাজারে

খুলনায় রেলকর্মী ও বহিরাগতদের যোগসাজসে সিন্ডিকেট করে কালোবাজারে অধিক মূল্যে টিকিট বিক্রি হওয়ায় প্রায়ই হয়রানিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। আর ঈদ এলে এই সিন্ডিকেট মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। উৎসব বা পরীক্ষার আগে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও মেলে না কাঙ্খিত টিকিট।
ফলে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের অতিরিক্ত মূল্যে কালোবাজার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়। যাত্রীদের এমন অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
সোমবার (২ মে) এমন অভিযোগের ভিত্তিতে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ৫ জন কালোবাজারিকে চিহ্নিত করেছে। এই সিন্ডিকেটের তিনজন রেলকর্মী ও দুইজন বহিরাগত। জরিমানা ও মুচলেকার মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিন ও অপ্রতিম কুমার চক্রবর্ত্তী।
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের সূত্রে জানা যায়, সোমবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাঁচজন টিকিট কালোবাজারিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হয় এবং অপরাধীদের অর্থদণ্ড করা হয় ও মুচলেকা নেওয়া হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহায়তা করেন র্যাব ও এপিবিএনের সদস্যবৃন্দ। জনস্বার্থে রেলের টিকিট কালোবাজারি রোধে জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
খুলনা জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, যাত্রীদের অভিযোগ রেলের টিকিট কালোবাজারি করে দ্বিগুন মূল্যে বিক্রি করে আসছে। এতে যাত্রীরা দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট পাচ্ছেন না। পরবর্তীতে অতিরিক্ত মূল্যে টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে পাঁচজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্য বহিরাগত দুইজনকে ২ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা ও তিনজন রেলের কর্মীকে মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে সার্বিক বিবেচনায় তাদের বিরুদ্ধে এই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মোহাম্মদ মিলন/আরআই