বাঁশঝাড়ে পাওয়া নবজাতকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন এসপি

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, নোয়াখালী 

০২ মে ২০২২, ০৯:২০ পিএম


বাঁশঝাড়ে পাওয়া নবজাতকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন এসপি

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ডোবার পাড়ে বাঁশঝাড়ে পাওয়া নবজাতকের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম। সোমবার (২ মে) দুপুরে উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের নলদিয়া গ্রামে ঘটনাস্থলে গিয়ে সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে তিনি চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, ঘটনাটি আইনের দিক থেকে চাঞ্চল্যকর না হলেও মানবিক দিক থেকে অনেক বড়। তাই মানবিক মূল্যবোধ থেকে ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এই শিশুর পাশে আমি সার্বক্ষণিক থাকব।

মো. শহীদুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয় হয়েছে। বলতে পারেন মূল্যবোধ হারিয়ে যাওয়ার কারণে এক নবজাতকের স্থান হয়েছে বাঁশঝাড়ে। 

স্থানীয়রা জানান, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার নবীপুর ইউনিয়নের নলদিয়া গ্রামের মিয়াজন সারেং বাড়ির পাশের ডোবার পাড়ে বাঁশঝাড় ও লতা-পাতায় ঘেরা ঝোপে নবজাতক ছেলে শিশুর কান্নার শব্দ পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। পরে পাশের আব্দুল মাঝির বাড়ির বাসিন্দা নিঃসন্তান রিকশাচালক ওবায়দুল হক (৩৮) ও রিনা (৩০) দম্পতির হেফাজতে দেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে। নিঃসন্তান দম্পতি বাচ্চাটির নাম রাখেন সাখাওয়াত আহমেদ আরিয়ান। 

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাচ্চাটি মোটামুটি সুস্থ ছিল। তবে তার শরীরের একাধিক স্থানে পোকা-মাকড়ের কামড়ের দাগ ও জন্মগত ক্ষত চিহ্ন দেখা যায়। পরিপূর্ণ সুস্থতায় সুচিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। তাই পুলিশ সুপার স্যার নবজাতকটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, শিশুটিকে কেউ ফেলে রেখে গেছে। এখন সে নিঃসন্তান রিকশাচালক ওবায়দুল হকের পরিবারের হেফাজতে রয়েছে। তাদের ৭ বছরের বিবাহিত জীবনে কোনো সন্তান নেই। তারা শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। আদালতের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিশুটিকে দত্তক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

হাসিব আল আমিন/আরআই

Link copied