নাটোরে বাস দুর্ঘটনায় নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কলেজের অধ্যাপক নিহত

নাটোরের বড়াইগ্রামে যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ও নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান (৪৫) নিহত হয়েছেন।
শনিবার (৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙ্গা এলাকার বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মশিউর রহমানের।
নিহত মো. মশিউর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সালাম-বরকত হলে থাকতেন বলে নিশ্চিত করেন তার সহপাঠীরা। তিনি ২৪তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করেন।
বড়াইগ্রামের হাইওয়ে থানা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ন্যাশনাল পরিবহনের একটি বাস রাজশাহীর দিকে যাচ্ছিল। বেলা ১১টার দিকে বাসটি মহিষভাঙ্গা এলাকার গাজী অটোরাইস মিলের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সিয়াম পরিবহনের বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এ সময় সিয়াম পরিবহনের বাসটি ছিটকে গিয়ে রাইস মিলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ন্যাশনাল পরিবহনের বাসটি মহাসড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়ক থেকে কিছুটা নেমে যায়।
দুর্ঘটনায় ন্যাশনাল পরিবহনের চার যাত্রী ও সিয়াম পরিবহনের দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে আরেকজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হয়েছেন উভয় বাসের অন্তত ২৫ জন যাত্রী।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী রেঞ্জের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে শিশুসহ দুইজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ।
এর মধ্যে নিহত মশিউর রহমান ছাড়া আরও রয়েছেন নাটোর সদর উপজেলার পাইকের দোল গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে সাদিয়া খাতুন (১২) ও ছেলে কাওসার আহমেদ (১৮), লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোহনা আক্তার মিলি (২৫), টাঙ্গাইলের ভানু প্রামাণিকের ছেলে জলিল (২৫), মাগুরার মিজানুর রহমান (৩০) ও নাটোর সদর উপজেলার আলমগীর হোসেন (৪৮)।
মো. আলকামা/আরআই