পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবা-ছেলের মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে তারা পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে শুক্রবার (২০ মে) দুপুরে বাবা বদিউরের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। ছেলে আওয়াল (২২) এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
মৃতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মিন্টুর ছেলে বদিউর (৪২) ও তার ছেলে আওয়াল (২২)। পদ্মা নদীর ধুলাউড়ি ঘাট থেকে বদিউরের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্তও ছেলে আওয়ালের মরদেহ পাওয়া যায়নি।
দুলর্ভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজিব রাজু বলেন, বাবা-ছেলে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে মাছ ধরতে বাসা থেকে বের হন। এরপর সন্ধ্যায় বজ্রপাতের কবলে পড়েন তারা। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল পদ্মায় অভিযান চালিয়ে বদিউরের মরদেহ উদ্ধার করেছে। তবে ছেলে আওয়াল এখনো নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় বাসিন্দা ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক ছাবের আলী প্রামাণিক জানান, বাবার মরদেহ উদ্ধার করা হলেও তীব্র স্রোতে পদ্মা নদীতে তলিয়ে গেছে ছেলের মরদেহ। তবুও নিখোঁজ ছেলের মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছে ডুবুরি দল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ বলেন, দুইজন নিহতের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে একজনের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে,খবর পেয়ে শুক্রবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিহতের পরিবারের সদস্যদের নিকট নগদ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, দুর্লভপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রাজিব রাজু ও ইউপি সদস্য আকতারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম/আরএআর