পৌরসভার সচিব শ্রদ্ধা জানালেন জিয়ার মাজারে, ছবি ভাইরাল

সরকারি চাকরিবিধি ভেঙে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মাজারে গিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার সচিব ইমরোজ মুজিবের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে শহর বিএনপির নেতা ও পৌরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ জুয়েলের সঙ্গে ঢাকায় গিয়ে তিনি এই পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর ওই বিএনপি নেতা নিজেই পৌরসভার সচিবকে নিয়ে জিয়ার মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের ছবি তার নিজস্ব আইডিতে পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) ছড়িয়ে দেন। একপর্যায়ে রোববার এই ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এ নিয়ে শহরজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কীভাবে বিএনপি নেতাকর্মীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পৌরসভার দাপ্তরিক কাজ নিয়ে ঢাকায় যান পৌরসভার সচিব ইমরোজ মুজিব। সঙ্গে ছিলেন পৌরসভার কাউন্সিলর ফিরোজ আহমেদ জুয়েল। কাজ শেষ করেই দুজনই ছুটে যান দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মাজারে। সেই সঙ্গে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর মাজারে কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকেন এবং ফাতেহা পাঠ ও প্রয়াত জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাতও করেন তারা।
অথচ সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দল ও এর সহযোগী সংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। সেইসঙ্গে দেশে ও বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং সহায়তাও করতে পারবে না। কিন্তু এসব বিধিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজনৈতিক দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার মাজারে গিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন ওই সরকারি কর্মকর্তা।
বগুড়া বারের সাবেক সভাপতি ও আইনজীবী গোলাম ফারুক বলেন, তিনি চাকরি বিধিমালা লঙ্ঘণ করেছেন। সেই সঙ্গে এটি একটি শাস্তিমূলক অপরাধও বটে। বিষয়টি স্থানীয় সরকারসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আমলে নিয়ে পৌরসভার ওই সচিবের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ বিষয়ে শেরপুর পৌরসভার সচিব ইমরোজের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন। তিনি কোনো মাজারে যাননি বলে দাবি করেন। এ সময় বলেন, ছবিটি যিনি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন তাকেই জিজ্ঞেস করুন। এ সম্পর্কে আমার কোনো বক্তব্য নেই বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
এমএএস