বরিশালকে অশান্ত করার চেষ্টাকারীরাই অপুকে অপহরণচেষ্টা চালিয়েছে

বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেছেন, অপহরণের চেষ্টাকারী সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এখনো তারা গ্রেপ্তার হয়নি। প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে মেয়র বলেন, আপনারা অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। আর না পারলে আমাকে বলুন, আমি নিজে খুঁজে বের করে তাদেরকে আপনাদের হাতে তুলে দিব।
সাংবাদিক অপূর্ব অপুকে অপহরণচেষ্টার প্রতিবাদ ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার (১ জুন) সকালে বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধনে মেয়র এসব কথা বলেন।
সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অপূর্ব অপুকে অপহরণচেষ্টার বিষয়টি অবগত হয়েছেন। আমারও জানতে হবে কেন অপুর ওপর এমন হামলা করা হয়েছে। শান্ত বরিশালকে অশান্ত করার চেষ্টা যারা করছেন তারাই সাংবাদিক অপূর্ব অপুকে অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছেন।
মেয়র বলেন, দেশ যখন উন্নয়নের পথে তখন গণমাধ্যমকর্মীদের টার্গেট করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। এদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানাই।
প্রবীণ সাংবাদিক অ্যাডভোকেট মানবেন্দ্র বটব্যাল বলেন, সাংবাদিকের ওপর দিনে-দুপুরে এমন ন্যাক্কারজনক হামলার পর সাধারণ মানুষ আরও নিরাপত্তাহীনতায় আছে। বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, অপূর্ব অপুর মতো আপাদমস্তক সাংবাদিকের ওপর এমন হামলা ও অপহরণচেষ্টা সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। আমরা দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
সিনিয়র সাংবাদিক আকতার ফারুক শাহিন বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন জেহাদ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন নগরীর উত্তরাঞ্চলে। সেনা সদস্যের জমি দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস যতরকম অপকর্ম আছে করেছেন তিনি। জেহাদের একটা নিজস্ব বাহিনীও ছিল।
এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িত বাকি তিনজনও এলাকার চিহ্নিত অপরাধী। এর মধ্যে ট্যারা হাবিব, নূরে আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। আর চিডা মামুনের বিরুদ্ধেও মাদকের মামলা রয়েছে। এসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবি ও প্রগতিশীল সংগঠন।
প্রসঙ্গত, রোববার (২৯ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় বরিশাল নগরীর শীতলা খোলা এলাকার মুমীতু কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে সাংবাদিক অপূর্ব অপুকে আক্রমণ ও অপহরণের চেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই