সারা শরীরে টিউমার, অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না সাধনা রাণী

সারা শরীরে অসংখ্য টিউমার। চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। ফলে বিনা চিকিৎসায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কুড়িগ্রামের সাধনা রাণী (৪০)।
সাধনা রাণী কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের খালিশা জালপাড়া গ্রামের নিখিল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী। নিখিল পেশায় একজন দিনমজুর। তাদের ঘরে এক ছেলে-মেয়ে রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০ বছর আগে একই এলাকার নিখিলের সঙ্গে সাধনা রাণীর বিয়ে হয়। সে সময় তার শরীরে দুটি ছোট টিউমার ছিল। বিয়ের ২০-২৫ বছরের মধ্যে তার সারা শরীরে অসংখ্য টিউমার ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে শারীরিক কোনো সমস্যা না হলেও এখন নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে। তার দৃষ্টিশক্তি কমে গেছে, সেইসঙ্গে রয়েছে তীব্র মাথা ব্যথা। টিউমারের কারণে এখন সংসারের কাজকর্ম ঠিকমতো করতে পারেন না।
দিপা রাণী নামে প্রতিবেশী এক নারী বলেন, সাধনা দিদির স্বামী একজন দিনমজুর। অন্যের বাড়িতে দিনমজুরের কাজ করে কোরো রকম সংসার চালায়। সংসারে অভাবের কারণে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারছে না। সরকারিভাবে যদি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যেত, তাহলে শান্তিতে বাকিটা জীবন কাটাতে পারতেন।
সাধনা রাণী বলেন, আমার যখন বিয়ে হয়, সেসময় শরীরে দুটো ছোট টিউমার ছিল। পরে আস্তে আস্তে সারা শরীরে টিউমার ছড়িয়ে যায়। কবিরাজের কাছ থেকে অনেক ওষুধ খেয়েছি, কোনো কাজ হয়নি। আমার পরিবারে অনেক অভাব, তাই বড় ডাক্তারকে দেখাতে পারিনি। আগে তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। এখন ঠিকমতো চোখে দেখতে পারি না। সব সময় মাথা খালি ব্যথা করে। আমার কী যে হবে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ জানে না।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ বলেন, ওই নারীর শরীরে যে অনেক টিউমার আছে, তা না দেখে কিছু বলা যাচ্ছে না। দেখলে হয়তো বোঝা যাবে টিউমারগুলো কোন পর্যায়ে আছে। উনি যদি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আসেন, তাহলে আমাদের চিকিৎসকরা দেখে ভালো একটা পরামর্শ দিতে পারবে।
জুয়েল রানা/এসপি