জেল থেকে বের হয়ে ফের হত্যা

হত্যা মামলায় জেল খেটে জামিনে বের হয়ে দেলোয়ার হোসেন দিলু সাভারে গড়ে তোলেন ভয়ঙ্কর ছিনতাই চক্র। তাদের দলের ছুরিকাঘাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও স্কুল কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান খুন হন। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন দেলোয়ার। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না তার। শুক্রবার র্যাবের হাতে আটক হন তিনি। পরে তাকে সাভার থানায় হস্তান্তর করা হয়।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিপিসি-৩, র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার অনু মং। এর আগে সাভারের রাজাশনের পালোয়ানপাড়া এলাকা থেকে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪।
গ্রেপ্তার দেলোয়ার হোসেন দিলু সাভারের রাজাশন এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে। তিনি ২০১২ সালের দিকে হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলার জেল খেটেছেন। জামিনে এসে তিনি সাভারে ছিনতাই চক্র গড়ে তোলেন বলে দাবি পুলিশের। এর আগে আজাদ শরীফ (৩০) ও রনি ওরফে কুত্তা রনিকে (৪৮) গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও স্কুল কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান হত্যার সঙ্গে জড়িত দেলোয়ার ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল। তাকে গ্রেপ্তারে শুক্রবার সাভারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই চক্রের সংগঠক দেলোয়ারকে আটক করা হয়।
সিপিসি-৩, র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার অনু মং বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের রাজাশনের পালোয়ানপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে আজাদ শরীফ ও রনি ওরফে কুত্তা রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে দেলওয়ারের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ অক্টোবর ভোরে রাজশাহী থেকে বাসে সাভারের সিআরপি রোড এলাকায় নামেন স্কুল কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় ছিনতাইকারীরা তার কাছে থাকা অর্থ ও মোবাইল ফোন নিতে গেলে মোস্তাফিজুর বাঁধা দেয়। পরে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে পরদিন সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন। এরপরই র্যাব বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
মাহিদুল মাহিদ/এসপি