পাটুরিয়ায় যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই ভোগান্তি

রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার মানুষ ঈদে বাড়ি ফিরছেন। এতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বাড়ছে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। কয়েকদিনের তুলনায় আজ সকাল থেকে দুুরপাল্লার বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে। ঘাট পার হতে আসা এসব যানবাহনগুলোকে নৌপথ পার হতে ২-৩ ঘণ্টা সময় লাগছে। তবে এ নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করায় নেই বাড়তি ভোগান্তি।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য শাখার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
দূরপাল্লার একটি বাসের চালক সেলিম মোল্লা বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। ফেরিতে উঠতে ৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে।

আরিফ হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, নবীনগর থেকে কাটা গাড়িতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এসেছি। ফেরি পেতে তেমন অপেক্ষা করতে হয়নি। আগে ঈদের সময় পাটুরিয়া ঘাটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো, কিন্তু এবার সহজেই ফেরি পার হতে পারছি।
নাফিজ নামে আরেক যাত্রী বলেন, ঘাট এলাকায় আগের মতো ভোগান্তি নেই, তবে পরিবহন বাসের যাত্রীদের নৌপথ পার হতে বেশ কিছুক্ষণ ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কিন্তু লোকাল বা কাটা বাসের যাত্রীরা ঘাটে আসা মাত্রই ফেরিতে বা লঞ্চে নদী পার হচ্ছেন।
ট্রাকচালক লাল চান মিয়া বলেন, বিগত দিনগুলোর তুলনায় যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়ায় ট্রাকচালকদের ফেরি পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে বাস ও ছোট গাড়ির সিরিয়ালের সঙ্গে কিছু কিছু ট্রাক পারাপার করায় আগের মতো ভোগান্তি নেই। আমরাও পার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। গত ঈদেও ঘাট এলাকায় তিন দিন আটকে ছিলাম।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২১টির মধ্যে ২০টি ফেরি দিয়ে অপেক্ষামাণ যানবাহনগুলোকে সিরিয়াল অনুযায়ী পার করা হচ্ছে। আর সাধারণ যাত্রীরা সহজেই ফেরি বা লঞ্চে পদ্মা পার হয়ে গন্তব্যে ছুটছেন।
নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করায় কোনো ভোগান্তি নেই। এ ছাড়া এই নৌপথে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিবহন বাস ও ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে।
সোহেল হোসেন/আরআই