কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের দাবি বাদলের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ায় নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার টেকের বাজারে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা থেকে তিনি এ দাবি জানান।
সভায় কাদের মির্জাকে উদ্দেশ করে মিজানুর রহমান বাদল বলেন, আমি উপজেলা চেয়ারম্যান থাকার সময় আপনাকে সর্বদা সম্মান করেছি। তখন আপনি আমাকে ছাত্র-যুব সমাজের অহংকার বলতেন। এখন কীভাবে মাদক সম্রাট বলেন? আমার বিরুদ্ধে কোনো অন্যায়-অনিয়ম প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দিব।
তিনি আরও বলেন, আপনি মুজাক্কিরকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। তিনি আমার খুব কাছের মানুষ ছিলেন। প্রতিদিন আমাকে ফোন দিতেন দেখা করার জন্য। আমার লোক হওয়ায় সেদিন মুজাক্কিরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কোনো সাহায্য করা হয়নি। এর ভিডিও প্রমাণ আমার কাছে আছে।
মিজানুর রহমান বাদল বলেন, কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতাদের মানহানির দায়ে কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তার ও বহিষ্কারের দাবি জানাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।
প্রতিবাদ সভায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রশিদ মঞ্জু, সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসিব আহসান আলাল, চরকাঁকরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আরিফ, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম শাহিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম রাহাত, ফখরুল ইসলাম সবুজ, চর এলাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে প্রতিবাদ সভা শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে মিজানুর রহমান বাদল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। এতে তারা আর এগুতে পারেননি।
এ বিষয়ে কোম্পানিগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত ) রবিউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, টেকের বাজার সমাবেশস্থল থেকে তারা পৌরসভা এলাকায় প্রবেশ করতে চান। আমরা ব্যারিকেড দেওয়ায় তারা আর প্রবেশ করতে পারেননি।
হাসিব আল আমিন/আরএআর