নিহত সাংবাদিকের ক্যামেরা ও মোবাইল উদ্ধার

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের ক্যামেরা, মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজার থেকে সাংবাদিক মুজাক্কিরের ব্যবহৃত ক্যামেরা, মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি।
এর আগে সকালে মুজাক্কির নিহতের ঘটনায় তার বাবা নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, সাংবাদিক মুজাক্কিরের ব্যবহৃত মোবাইল, ক্যামেরা ও মানিব্যাগ চাপরাশিরহাট বাজার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।
ওসি মীর জাহেদুল হক বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তের অংশ হিসেবে চাপরাশিরহাট বাজারে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছি আমরা। ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে মুজাক্কিরের ব্যবহৃত মোবাইল, ক্যামেরা ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কাদের গুলিতে সাংবাদিক মুজাক্কির নিহত হয়েছেন, তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি আমরা।
মেয়র কাদের মির্জার বিরুদ্ধে গত শুক্রবার বিকেলে চাপরাশিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল।
বাদলের মিছিলটি চাপরাশিরহাট বাজারে গেলে কাদের মির্জার অনুসারীরা হামলা চালান। এ সময় দুই পক্ষকে দুই দিকে ধাওয়া করে এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর কাদের মির্জার নেতৃত্বে শতাধিক অনুসারী মোটরসাইকেল ও গাড়িতে করে চাপরাশিরহাট বাজারে যান। একপর্যায়ে কাদের মির্জার সমর্থকেরা বাদলের বাড়িতে হামলা ও গুলি চালান।
এ সময় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সাংবাদিক মুজাক্কির গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। মুজাক্কিরসহ আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সন্ধ্যায় মুজাক্কিরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এদিকে সাংবাদিক মুজাক্কিরের খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তারা। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
হাসিব আল আমীন/এএম