খুলনায় পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের দাবি

খুলনার বেসরকারি পাটকল শ্রমিক কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধসহ ৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। বেসরকারি পাট, সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
শ্রমিকদের দাবির মধ্যে খুলনার শিরোমনি শিল্প এলাকার মহসেন জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের চুড়ান্ত পাওনা চলতি সপ্তাহের মধ্যে পরিশোধ, খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আফিল জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের চুড়ান্ত পাওনাদির হিসেব শ্রম দপ্তরে প্রেরণ, শ্রম আইন মোতাবেক শিরোমনি জুট স্পিনার্স মিলের শ্রমিকদের চুড়ান্ত পাওনা পরিশোধ, সোনালী ও অ্যাজাক্স জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের চুড়ান্ত পাওনা পরিশোধসহ ৬ দফা দাবি রয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন মহসেন জুট মিলটি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও মালিক পক্ষ কৃত্রিম অর্থ সংকট দেখিয়ে মিলটি ২০১৩ সালের ২৩ জুন থেকে ৩৯০ দিন বেআইনি লেঅফ এর পর ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই এক নোটিশে সব শ্রমিক-কর্মচারীদের বেআইনিভাবে ছাটাই করলেও এ পর্যন্ত শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করেনি।
পূর্বেও শ্রম ও কর্ম সংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও শ্রম পরিচালকের নির্দেশ অমান্য করে আসছে। যার মধ্যদিয়ে বর্তমান শ্রমিক বান্ধব সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। শ্রমিক বান্ধব সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, মুক্তিযোদ্ধাসহ অসহায় শ্রমিকের ওপর জুলুম নির্যাতনের বিচার ও শাস্তিসহ ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে মহসেন, সোনালী, অ্যাজাক্স, জুট স্পিনার্স, আফিল জুট মিলের শত শত শ্রমিক কর্মচারীদের সব পাওনা অতিদ্রত এককালীন পরিশোধের দাবি জানান।
এ ছাড়া আগামী শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় মহসেন জুট মিল সংলগ্ন গাফফারফুড মোড় শ্রমিক জনসভা থেকে রাজপথ, রেলপথ অবরোধসহ কঠিন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিক নেতারা। মানববন্ধন শেষে খুলনা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি শেখ আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক সাইফুল্লাহ তারেকের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল খান, মো. নিজামউদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম, লিয়াকত মুন্সি, সেকেন্দার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রমিক ক্বারী আসহাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন, ইজ্ঞিল কাজী, ইব্রাহীম কাগজী, আমির মুন্সি ও বাবুল হোসেন প্রমুখ।
মোহাম্মদ মিলন/আরআই