পালিয়ে বিয়ের দেড় বছর পর লাশ হলেন নাহিদা

প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে দেড় বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করেন নাহিদা (১৯)। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নাহিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এশার নামাজের পরে জানাজা শেষে তার লাশ ঢাকার জুড়াইন কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী রাসেল (২৪) ও দেবর রাজুকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার ফারুক হোসেনের মেয়ে নাহিদা। দেড় বছর আগে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বসউল্লাহ গ্রামের বাবুলের ছেলে রাসেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে পালিয়ে বিয়ে করেন তারা। তাদের ৬ মাস বয়সী এক সন্তান রয়েছে।
নাহিদার মা নারগিস বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই তার মেয়ের ওপর যৌতুকের জন্য অত্যাচার করে আসছিল স্বামী ও দেবর। ৩ মাস আগে ৩০ হাজার টাকাও যৌতুক হিসেবে দেন তারা। তারপরেও নাহিদার শেষরক্ষা হলো না। অত্যাচার করেই নাহিদাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
টঙ্গীবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ বলেন, গভীর রাতের কোনো একসময় শ্বশুরবাড়ি থেকে আহত অবস্থায় নাহিদাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নাহিদার বাবা ফারুক হোসেন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন নাহিদা। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকজন অত্যাচার করে নাহিদাকে হত্যা করেছে।
এমএসআর