পিকআপের ভারে ভেঙে পড়ল সেতু, বিপাকে ৫ গ্রামের মানুষ
ভেঙে পড়েছে খুলনার পাইকগাছার নাছিরপুর খালের ওপর নির্মিত ফুট ব্রিজ। কপিলমুনি ইউনিয়নের নাছিরপুর খালের দুই পাড়ের মানুষের চলাচলে একমাত্র ভরসা ছিল এই সেতুটি। ফলে বিপাকে পড়েছেন দুই পাড়ের পাঁচ গ্রামের মানুষ। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে বৃষ্টি ও কাদার মধ্যে বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা জানান, গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাছের পোনাবাহী একটি পিকআপ ভ্যান সেতুর ওপর উঠামাত্রই মাঝ বরাবর ভেঙে খালের মধ্যে পড়ে সেতুটি। নাছিরপুর খালের দুই পাড়ে বসবাসকারী পাঁচ গ্রামের বাসিন্দাদের সার্বিক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সেতুটি। দুই পাড়ে বসবাসকারী ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে এই সেতুই একমাত্র ভরসা। খালের আশপাশের বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে একপাশে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক। আর অপর পাশে ১০ নং জি.টি. চিনিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেতুটি ভেঙে পড়ায় প্রায় ২-৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঘুরে একপাশ থেকে অন্যপাশে যেতে হচ্ছে স্থানীয়দের। দ্রুত খাল পারাপারের বিকল্প ব্যবস্থা এবং নতুন করে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সেতু সংলগ্ন ফলকে লেখা রয়েছে- স্বল্প ব্যয়ে গ্রামীণ সড়কে পুল/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে শুরু হওয়া ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ফুট ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০০০ সালে।
কপিলমুনি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোয়ালবাথান তালতলা এলাকার নাছিরপুর খালের পুরাতন ও জরাজীর্ণ এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। এখন সেতু থেকে প্রায় এক কিলোমিটার ওয়াপদার বাধের কাঁচা পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ঘুরে আসতে গেলে দুই থেকে তিন কিলোমিটার হেঁটে আসতে হচ্ছে। বৃষ্টি ও কাদা মাটিতে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। শুনেছি নতুন সেতু তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে। কিছুদিন আগে মাপমাপি করে গেছে। বিকল্প হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান বাঁশের চারের ব্যবস্থা করবেন।
কপিলমুনি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. কওছার আলী জোয়ার্দার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেতুটি পুরাতন হওয়ায় সেখানে নতুন সেতু করার জন্য বরাদ্দ হয়েছে। সব ঠিক থাকলে দ্রুত নতুন সেতুর কাজ শুরু হবে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ওই এলাকায় যাব। সেতুটি ভেঙে পড়ায় বিকল্প উপায়ে ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়েছে বলে শুনেছি। ওই এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থায় কাঠের সেতু বানানোর চেষ্টা চলছে। ওই এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে দ্রুত কি করা যায় সেই বিষয়ে কাজ চলছে।
মোহাম্মদ মিলন/আরএআর