ইলিশ কম ক্রেতা বেশি

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর

১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৭:৪৩ এএম


ইলিশ কম ক্রেতা বেশি

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে আগের চেয়ে ইলিশ বেশি ধরা পড়েছে এমন খবরে ঘাট এলাকায় সাধারণ ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কমলনগর উপজেলার মতিরহাট মাছঘাটে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা মাছ কিনতে ভিড় করে। 

এদিকে পুরুষদের পাশাপাশি নারী ক্রেতাদেরও ঘাটে ইলিশ কিনতে দেখা গেছে। এতে বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয়েছে তাদের। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চৌরাস্তা এলাকার নুসাইবা জান্নাত তার স্বামীকে নিয়ে ইলিশ কিনতে মতিরহাট যান। এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে প্রায় ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন। অবশেষে একটু কম ওজনের ইলিশ কিনেছেন তিনি।

সদর উপজেলার মিয়া রাস্তার মাথা এলাকা থেকে আরমান হোসেন নামে এক মুদি ব্যবসায়ী ইলিশ কেনার জন্য সন্ধ্যায় মতির হাটে আসেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘাটে বড় ইলিশের চেয়ে জাটকা বেশি ওঠে। আর অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ে বড় ইলিশের দামও বেশি। তিনি ৯ হাজার ২০০ টাকায় ৭৫০-৮০০ গ্রাম ওজনের ১৭টি ইলিশ কিনেছেন। ইলিশগুলোর প্রায় ১৩ কেজি ওজন হয়েছে। 

তবে ক্রেতার তুলনায় ঘাটে পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া যায়নি। দামও নাগালের মধ্যে ছিল না। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশের হালি ২৫০০-৩০০০ টাকায় কিনতে দেখা গেছে।

ঘাট এলাকায় খুচরা ব্যবসায়ী আলি আহমদের কাছে আটটি ইলিশ দেখা যায়। তিনি ইলিশগুলো ৫ হাজার টাকা দাম চান। পাশেই জাটকা নিয়ে বসেছিল শিশু আজগর হোসেন। সে ২০০ টাকা দরে জাটকার হালি বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজছে। 

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাগরের চেয়ে মেঘনার ইলিশে স্বাদ বেশি। মৌসুম থাকলেও মেঘনায় ইলিশ কম ধরা পড়েছে। প্রায় ৮০ ভাগই সাগরের ইলিশ ছিল। সম্প্রতি মেঘনায় আগের চেয়ে বেশি ইলিশ মিলছে। এতে পাইকারি, খুচরা ব্যবসায়ীরা ছাড়াও বাইরের ক্রেতারা এসে ভিড় জমাচ্ছে। তবে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ এখনো ঘাটে আসেনি। ইলিশেরে চেয়ে ক্রেতা অনেক বেশি।

ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মহিম হোসেন বলেন, মেঘনার ইলিশের চাহিদা বেশি। ক্রেতারা মেঘনার ইলিশ কেনার জন্যই ভিড় করছে। গত কয়েক দিন একই অবস্থা। কিছু দিন আগেও এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের হালি ৭৫০০-৮০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন ওই ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। তবে মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। মেঘনায় কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া গেলে দামও নাগালের মধ্যে চলে আসবে। 

কমলনগরের চরকালকিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছায়েফ উল্যা বলেন, কিছু দিন ধরে ইলিশ কিনতে মতিরহাট ও বাত্তির খাল এলাকায় মানুষ ভিড় করছে। অক্টোবর মাসে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আসছে। এজন্য হয়তো ফ্রিজিং করে রাখার জন্য আগ থেকেই তারা ইলিশ কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মেঘনার ইলিশ সুস্বাদু হওয়ায় অনেকেই কিনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার আত্মীয়-স্বজনদের কাছে পাঠায়।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এসপি

Link copied