সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারাদণ্ড

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:০৮ পিএম


সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারাদণ্ড

শ্যামনগরে সরকারি খাস জমি নামপত্তন জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের দুটি মামলায় সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আট কর্মচারীসহ ১১ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক ড. ওয়াহিদুজ্জামান শিকদার এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি শাখার উচ্চমান সহকারী রেকর্ড কিপার পুতুল রানী বৈরাগি, অফিস সহকারী (রেকর্ড রুম) শ্যামল কুমার আচার্য, মুদ্রাক্ষরিক বেগম জেসমিন নাহার, সার্টিফিকেট অফিসার (রেকর্ড রুম) মো. সামছুজ্জামান, অফিস সহকারী আফসার উদ্দিন ও আ. মজিদ সরদার (পলাতক), ওয়াজেদ সরদার ও মোহাম্মাদ আলী সরদার। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাড. মজিবর রহমান জানান, সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সরকারি খাস জমি জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৭ সালে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১০৯, ৪০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোস্তফা আব্দুল হালিম। পরে তদন্ত কর্মকর্তা দুদক, খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক এবিএম আব্দুস সবুর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

তিনি বলেন, এছাড়া সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের আলাদা মামলায় (১১/১৭) আসামি শামীমা আক্তার, শ্যামল কুমার আচার্য, জেসমিন নাহার, সেলিমা সুলতানা, আফসার উদ্দিন ও মো. হোসেন আলীকে ৭ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তানজিল্লুর রহমান বলেন, রেকর্ড জালিয়াতির জন্য করা দুদকের মামলায় ভূমি শাখার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাজা হয়েছে জেনেছি। তবে এখনও এ ব্যাপারে খুলনা আদালত থেকে কোনো চিঠি আসেনি। এ কারণে বিস্তারিত এই মুহূর্তে জানাতে পারছি না।

এমএএস

Link copied