পাবনায় ইউএনও-ওসি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীর মামলা

Dhaka Post Desk

জেলা প্রতিনিধি, পাবনা

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩৮ পিএম


পাবনায় ইউএনও-ওসি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীর মামলা

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গ্রাম পুলিশ নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকৌশলী, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক চাকরিপ্রার্থী।

গত বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার মন্ডুতোষ ইউনিয়নের দিয়ারপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদালত থেকে এ সংক্রান্ত নোটিশ পাঠালে বিষয়টি জানাজানি হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে পাঁচজন গ্রাম পুলিশ নিয়োগের জন্য গত ২০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে উপজেলা প্রশাসন। এতে মামলার বাদী রুহুল আমিন ও বিবাদী মাহবুবুল আলমসহ চারজন আবেদন করেন। বিজ্ঞপ্তির শর্ত মোতাবেক প্রার্থীদের বয়স অবশ্যই ২৫ আগস্টের মধ্যে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এছাড়া ওই প্রার্থীকে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দা হতে হবে। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আবেদনকারীদের মধ্যে একাধিক প্রার্থীর বয়স ৩০ বছরের অধিক হওয়ায় তারা পরীক্ষা থেকে বাদ পড়েন। 

তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে মাহবুবুল আলমের বয়স ৩০ বছরের অধিক হওয়া সত্ত্বেও তাকে নিয়োগ দেয় উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নিয়োগ হলেও মাহবুবুল আলমের বাড়ি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে হওয়ায় নিয়োগের শর্ত মানা হয়নি। অথচ মামলার বাদী রুহুল আমিনের বয়স ৩০ বছরের কম এবং নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও তাকে মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

রুহুল আমিন বলেন, প্রহসনমূলক নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে মাহবুব আলমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাই মামলা করেছি। 

মামলার বিষয়ে ভাঙ্গুড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আফসার আলী বলেন, রুহুল আমিনের আবেদনে ভুলত্রুটি থাকায় সে বাছাইয়ে বাদ পড়েছে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে প্রার্থী না থাকায় পার্শ্ববর্তী ওয়ার্ডের প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়। 

৩০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিকে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, মাহবুবুল আলম জন্ম নিবন্ধন দিয়ে আবেদন করেছে। তাই তার জাতীয় পরিচয়পত্র দেখা হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান বলেন, বিধি মোতাবেক উপযুক্ত প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি। বাদী সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রাকিব হাসনাত/আরএআর

Link copied